হায় রে ভ্যাকসিন! আগের দিন বিকালেই জল-মুড়ি নিয়ে হাজির ওঁরা, রাত কাটালেন গাছ তলাতেই…
COVID Vaccine: ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলিতেও চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
বর্ধমান: ভ্যাকসিন (COVID Vaccine) ভোগান্তি অব্যাহত বর্ধমানে (Purbo Bardhaman)। ভ্যাকসিন পেতে রাত জেগে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ১৯শে জুলাই ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইন পড়ছে ১৮ই জুলাই বিকেল থেকেই! ভয়ঙ্কর চিত্র বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সামনে।
হাসপাতালের সামনে শয়ে শয়ে মানুষ। সামাজির দূরত্ব বিধি মানা তো দূরের কথা, একে প্রায় অন্যের ঘাড়ে শ্বাস ফেলছেন। অভিযোগ, অনলাইনে খুব অল্প সময়ের জন্য ভ্যাকসিন বুকিং করা যাচ্ছে। যেকারণে তাঁরা বুকিং করতে পারছেন না। অগত্যা তাঁদের ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলিতে এসে লাইন দিতে হচ্ছে।
ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলিতেও চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। কোনও দিন একশো, কোনওদিন আবার দুশো কুপন ইস্যু করা হচ্ছে ভ্যাকসিন সেন্টারগুলোর পক্ষ থেকে। সোমবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে দেড়শো জন ভ্যাকসিন পাবেন, এমনটাই নোটিশ টাঙানো হয়েছে।
যার মধ্যে ৪৫ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিদের জন্য প্রথম ডোজ় ৩০ টি, দ্বিতীয় ডোজ় ৫০ টি। আবার ৭০-র বেশি বয়স্কদের জন্য প্রথম ডোজ় ১৫টি, দ্বিতীয় ডোজ় ৩৫টি। ১৮ উর্ধ্বদের জন্য প্রথম ডোজ় নেই দ্বিতীয় ডোজ় ২০টি।
ভ্যাকসিন কম, তাই নিজের নিজের ভ্যাকসিন কুপন চূড়ান্ত করতে অনেকেই আগের দিন থেকে লাইন দিচ্ছেন। রাত তিনটের সময় TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল করুণ দৃশ্য। হাসপাতালের গেট বন্ধ, কেউ বাইরে বসে, কেউ বা এটিএম কাউন্টারের সামনে, কেউ গাছতলায় অপেক্ষারত। রাতে খাবেন কী? প্রশ্ন করতে কেউ জানালেন, জলমুড়ি, কেউবা বললেন রুটি এনেছেন সঙ্গে!
সকাল সাতটায় গেট খুললে তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন।সকাল ৯টায় কুপন দেওয়া শুরু হবে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা এর আগেও বেশ কয়েকবার লাইন দিয়েও কুপন পাননি। ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, তাই অগত্যা আবার রাত জেগে লাইনে দাঁড়ানো। প্রত্যেকেই চাইছেন, আরও সরলীকরণ করা হোক ভ্যাকসিন ব্যবস্থা! আরও পড়ুন: ‘ওঁরা বলেছিলেন সময় হলে টাকা পেয়ে যাবেন, তখনই বুঝে গিয়েছিলাম…’