Ketugram Crime: ‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের শাস্তি দিতেই রেণুর হাত কেটেছি’, দাবি স্বামীর
Ketugram Crime: শের মহম্মদ দাবি করে, রেণুর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক ছিল। তা জানতে পেরেই তাঁকে শাস্তি দিতে হাতের কব্জি কেটেছে।
কেতুগ্রাম : চাকরি করতে দেবে না বলে স্ত্রীর হাতের কব্জি থেকে কেটে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। হাসপাতালে কয়েকদিনের লড়াই শেষে বাড়ি ফিরেছেন স্ত্রী। এখন সুস্থ হয়ে চাকরিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষা করছেন রেণু খাতুন। আর আজ তাঁর স্বামী শের মহম্মদ দাবি করল, চাকরি করতে না দেওয়ার জন্য স্ত্রীর হাত কাটেনি সে। রেণুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার শাস্তি দিতেই হাত কেটেছিল বলে দাবি শের মহম্মদ।
৪ জুন রেণুর ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে নিয়েছিল তাঁর স্বামী। সঙ্গ দিয়েছিল আরও একাধিক জন। ঘটনার পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিল শের মহম্মদ। দিন তিনেক পর ধরা পড়ে সে। আজ শের মহম্মদ এবং অন্য ধৃতদের রেণুর শ্বশুরবাড়ি কজলসা গ্রামে আনা হয়। আজকে কেতুগ্রাম থানার তরফে ঘটনার দিন ঠিক কী কী ঘটেছিল সমস্ত কিছু পুনর্নির্মাণ করা হয়। এখানেই শের মহম্মদ বলে, এই ঘটনার জন্য সে অনুতপ্ত। এরপরই সে দাবি করে, রেণুর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক ছিল। তা জানতে পেরেই তাঁকে শাস্তি দিতে হাতের কব্জি কেটেছে। তাঁর চাকরিতে বাধা দেওয়ার জন্য হাতের কব্জি কাটা হয়নি।
শের মহম্মদের অভিযোগ অস্বীকার করলেন রেণু। তিনি বলেন, “নিজেকে বাঁচানোর জন্য এসব বলছে। নিজের দোষ ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমার কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নেই।” তিনি আরও বলেন, “ও আমাকে বলত, তোমাকে চাকরি করতে দেব না। চাকরি করলে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। পরিকল্পিত ভাবে আমার ডান হাতের কব্জি থেকে কাটা হয়েছে।” এই কাজে শের মহম্মদের পরিবারের অন্যরা জড়িত রয়েছেন বলে মনে করেন রেণু।
শের মহম্মদের কঠোর শাস্তির দাবি করে রেণু বলেন, “ওর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক। যাতে ও কোনওদিন জেল থেকে বেরতে না পারে।” রেণুর উপর আক্রমণের খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ও স্টাফ নার্সের চাকরি পেয়েছিল গ্রেড ২ তে। তাঁকে জেলাতেই নন নার্সিং কাজে রাখা হচ্ছে। যেহেতু পাশ করেছিলেন নার্সিংয়ে, ওই গ্রেডেই চাকরি করবেন। তবে নার্সিংয়ের কাজ না করে অন্য কাজ করবেন। ” তাঁর উপর নির্যাতনের এই যন্ত্রণা ভুলে দ্রুত কাজে যোগ দিতে চান রেণু। বললেন, যত তাড়াতাড়ি সুস্থ হবেন, তত তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দেবেন।