AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

School: স্কুলে আসা পড়ুয়াদের দিয়ে করানো হয় বাজার, প্রশ্ন শুনেই মাস্টারমশাই বললেন, ‘ওদের হিসাব শেখাচ্ছি’

School: কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীবাটি পঞ্চায়েতের নতুনগ্রাম স্কুল। সেখানে পড়াশোনা করে প্রায় চল্লিশ জন শিশু। অভিযোগ, প্রতিদিনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুমন ঘোষ স্কুলে আসেন দেরিতে। আর শিশুরা এসে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে গেটের বাইরে। কারণ স্কুল গেটের চাবি রয়েছে মাস্টারমশাইয়ের কাছে। ফলে তিনি না এলে তালা খোলা হয় না। তাই বাইরেই অপেক্ষা করতে হয় পড়ুয়াদের।

School: স্কুলে আসা পড়ুয়াদের দিয়ে করানো হয় বাজার, প্রশ্ন শুনেই মাস্টারমশাই বললেন, 'ওদের হিসাব শেখাচ্ছি'
বাঁ দিকে প্রধান শিক্ষক, ডানদিকে বাজার করে ফিরছে পড়ুয়ারা Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2024 | 7:14 AM
Share

কাটোয়া: ছোট ছোট শিশুরা যাচ্ছে বাজারে। তারপর কেউ রান্নার মশলা কিনে আনছে, কেউ কিনে আনছে সবজি। আর তা দিয়েই চলছে মিড-ডে মিলের রান্নার কাজ। কেন বাচ্চাদের দিয়ে বাজার করানো হচ্ছে? প্রশ্ন করতেই শিক্ষকদের যুক্তি, শিশুদের হিসাব শেখাতেই নাকি অভিনব এই পন্থা নিয়েছেন তাঁরা। তবে আসল বিষয়টা জানা গেল তো পরে।

কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীবাটি পঞ্চায়েতের নতুনগ্রাম স্কুল। সেখানে পড়াশোনা করে প্রায় চল্লিশ জন শিশু। অভিযোগ, প্রতিদিনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুমন ঘোষ স্কুলে আসেন দেরিতে। আর শিশুরা এসে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে গেটের বাইরে। কারণ স্কুল গেটের চাবি রয়েছে মাস্টারমশাইয়ের কাছে। ফলে তিনি না এলে তালা খোলা হয় না। তাই বাইরেই অপেক্ষা করতে হয় পড়ুয়াদের।

অভিযোগ এখানেই শেষ নয়, আগত পড়ুয়াদের পাঠানো হয় রান্নার সামগ্রী আনার কাজে। খারাপ রাস্তার উপর দিয়েই ছোট-ছোট খুদেরা যাচ্ছে বাজার করতে। আর শিক্ষকদের এই প্রশ্ন করতেই তাঁদের যুক্তি পড়ুয়াদের নাকি বাজার করা শেখাতে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক বললেন, “আমি বাজার করতে পাঠিয়ে ভুল করেছি। আসলে হিসাব শেখানোর জন্যই পাঠিয়েছিলাম। আর রোজ দেরিতে আসি না। একদিন বৃষ্টির জন্য দেরি হয়েছে।” এরপরই উঠছে প্রশ্ন, এভাবে স্কুল ছাত্রদের কি বাজারে পাঠানো আদৌ যুক্তি সঙ্গত? তারা তো স্কুলে লেখাপড়া করতে যায়। বাজার করা কি তাদের কাজ?

দীর্ঘদিন এই অনিয়মের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রুখে দাঁড়ান পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এরপর দেরিতে আসা শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে না দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বিষয়টি শুনে স্কুল পরিদর্শক শুভজিত মণ্ডলের মৌখিক বক্তব্য স্কুলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।