Anubrata Mondal: মাস্ক পরে কেষ্টর সঙ্গে কথা, মেটালেন খাবারের বিল, ফাঁস রহস্যময় ব্যক্তির পরিচয়
Anubrata Mondal: প্রথমে যদিও ওই ব্যক্তি নিজেকে দোকানের খদ্দের হিসাবে পরিচয় দিলেও তা ধোপে টেকেনি। টিভি ৯ বাংলার তদন্তে জানা গেল তিনি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ। ছোটখাট কাজের জন্য একাধিকবার কেষ্টর সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
শক্তিগড়: তখন পুলিশে-পুলিশে ছয়লাপ। দুর্গাপুর থেকে বর্ধমানের শক্তিগড়ের একটি হোটেলে দাঁড়াল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গাড়ি। সকালের প্রাতঃরাশ সারার জন্যই নেমেছিলেন সেখানে। কিন্তু তখনও তৈরি হল বিতর্ক। কেষ্ট মণ্ডলের খাবার টেবিলে দেখা গেল সবুজ পঞ্চাবি পরিহিত একজন ব্যক্তিকে। তিনি কে? কী তাঁর পরিচয়? প্রথমে যদিও ওই ব্যক্তি নিজেকে দোকানের খদ্দের হিসাবে পরিচয় দিলেও তা ধোপে টেকেনি। টিভি ৯ বাংলার তদন্তে জানা গেল তিনি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ। ছোটখাট কাজের জন্য একাধিকবার কেষ্টর সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
রহস্যময় ওই ব্যক্তির পরিচয়
সূ্ত্রের খবর, এই ব্যক্তির কৃপাময় ঘোষ। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের পূর্ব পরিচিত। সরকরি একটি চাকরিও জুটিয়েছিলেন তিনি। পরে যদিও সেই চাকরিতে যান না তিনি। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের যে কোনও দরকারে ছোট-খাটো যে কোনও কাজে এগিয়ে আসতেই এই কৃপাময়। তাঁর পাশেই সব সময় দেখা যেত। তবে এই প্রথম নয়, দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে তোলার সময় এই কৃপাময় ঘোষকে দেখা যায়। ফলত, কেষ্ট যে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কথা জানিয়ে থাকেন তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ শক্তিগড়ে প্রথম থেকেই উপস্থিত ছিলেন কৃপাময়। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলতেও দেখাও যায়। এরপর অনুব্রত বেরিয়ে গেলে হোটেলে ৯৯৫ টাকা বিল মিটিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এখানে উল্লেখ্য, মোট ছ’জনের খাবার মিল মেটান কৃপাময়। হোটেল মালিক বলেন, “সবুজ পঞ্জাবি পরা ওই ব্যক্তিকে আমি চিনি। উনিও আমায় চেনেন। আমি দোকানের মালিকের মামা। ওই সবুজ জামা পরিহিত ব্যক্তির বাড়ি বোলপুরে। মাঝে মধ্যেই উনি এখানে খেতে আসতেন। আজকেও খাবারের বিল তিনি মিটিয়েছেন।” ফলত, এই ব্যক্তি যে আগে থেকে অনুব্রতর পূর্ব পরিচিত তা দাবি করলেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে, টিভি ৯ বাংলার ক্যামেরা দেখতেই নিজেকে ‘আম পাবলিক’ বলে পরিচয় দেন কৃপাময়। এবং বিলাসবহুল একটি গাড়িতে চড়ে বেরিয়ে যান।