Old Pension Scheme: এক গ্রামে দুই ভিন্ন ছবি, একজন পাচ্ছেন না বার্ধক্য ভাতা, অপরজন বিধবা ভাতা
Kalna: এই এলাকাতেই রয়েছে আরও এক অসহায় অভাবী বিধবা বৃদ্ধা। বছর ৭৪ তারা দাস। বয়সের ভারে হাঁটা চলা করতে পারেন না ঠিকমতো। দুই ছেলে থাকলেও,তাদের আলাদা সংসার। স্বামী হারা বিধবা ও বৃদ্ধার বহু আবেদনের পরেও জোটেনি বিধবা কিংবা বার্ধক্য ভাতা।
কালনা: মিলছে না বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা। হন্যে হয়ে ঘুরেও মেলেনি। ফলে সামান্য আয়ের উপরেই ভর করে অতি কষ্টি বেঁচে রয়েছে দুটি পরিবার। প্রশাসনের দরবারে হন্যে ঘুরেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে দাবি।
কালনার শ্বাসপুর এলাকায় বাস করেন বিশ্বজিৎ সাহা(৬৪) ও তাঁর পরিবার। বিড়ি বেঁধে দিন গুজরান করেন বৃদ্ধ। গত কয়েক বছর ধরে তিনি অসুস্থ। স্বামীকে কাজে সাহায্য করেন স্ত্রী। ছেলে বেকার। বৃদ্ধ বিশ্বজিৎ বয়স জনিত কারণে ভারী কাজ করতে পারেন না। তাই বিড়ি বাঁধার কাজ বেছে নিয়েছেন তিনি। অভাবী পরিবারে বাড়তি আয়ের জন্য গত ৩ বছর ধরে বার্ধক্য ভাতার আবেদন করেছিলেন। তবে ভাতা মেলেনি বলে অভিযোগ। বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে আবেদন করে মিলেছে প্রতিশ্রুতি বলে দাবি ওই পরিবারের।
এই এলাকাতেই রয়েছে আরও এক অসহায় অভাবী বিধবা বৃদ্ধা। বছর ৭৪ তারা দাস। বয়সের ভারে হাঁটা চলা করতে পারেন না ঠিকমতো। দুই ছেলে থাকলেও,তাদের আলাদা সংসার। স্বামী হারা বিধবা ও বৃদ্ধার বহু আবেদনের পরেও জোটেনি বিধবা কিংবা বার্ধক্য ভাতা। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করার পরও মেলেনি সরকারি অনুদান।
বিষয়টি জানার পর কালনা পৌরসভার পৌর প্রধান তপন পোরেল জানিয়েছেন তিনি খোঁজ নেবেন। কেন ভাতা পাচ্ছেন না তাও খতিয়ে দেখা হবে। তপনবাবু বলেছেন, “বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা ভাতা পান না এই ঘটনা বিরল। অনেক সময় আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখলাম।”