TMC: ছাড়েননি জামাইকেও, প্রাথমিকে চাকরির নামে লক্ষ টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার তৃণমূলের দাপুটে নেতা

Purba Bardhaman: মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান হেকমত আলি। প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে অভিযুক্ত উপপ্রধান প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ।

TMC: ছাড়েননি জামাইকেও, প্রাথমিকে চাকরির নামে লক্ষ টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার তৃণমূলের দাপুটে নেতা
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 4:03 PM

মঙ্গলকোট: ফের অস্বস্তিতে শাসকদল। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার তৃণমূল উপ-প্রধানের ‘কাজে’ বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে শাসক দলের নেতারা। চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণার অভিযোগ দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত।

মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান হেকমত আলি। প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে অভিযুক্ত উপপ্রধান প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ । জানা গিয়েছে, শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, পাশাপাশি বীরভূম ও মঙ্গলকোট সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণে টাকা তোলে হেকমত আলি।

সূত্রের খবর, মোট এগারো জনের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী নিজের জামাইয়ের কাছ থেকে চাকরি দেবার নামে টাকা নেন বলে খবর। উপপ্রধানের নামে মঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা নামে এক প্রতারিত। তিনি বীরভূমের কিন্নাহারের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ পেয়েই পুলিশ উপপ্রধানকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে, উপ প্রধান হেকমত আলির মেয়ে জিন্নাতুন নিশার জানান, ‘পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে টাকার দাবি না মেনে নেওয়ায় বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ অন্যদিকে, নেতার স্ত্রী বলেন, ‘ওরা কিছুই দেখাতে পারেনি। সম্পূর্ণটাই মিথ্যে কথা। নিজেরা সাজিয়ে লিখে এনে আমার স্বামীর নামে মিথ্যে কথা বলেছে।’ এলাকার বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই পঞ্চায়েতে ওঁকে ঢুকতে দিতাম না। ওকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা প্রতারিত হয়েছে তাঁদের প্রত্যেককে আমরা বলেছি যাতে তাঁরা পুলিশের কাছে জানায়।’

বিজেপি নেতা গোপাল চ্যাটার্জী বলেন, ‘আমি জানতে পারলাম ওই উপপ্রধান প্রাইমারিতে চাকরি দেব বলে প্রচুর মানুষের থেকে টাকা তুলেছে। যার মূল্য প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা। ভালো খবর গ্রেফতার হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওনাকে আগেই বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা একটা নাটক। আসলে বাংলায় প্রমাণিত হয়েছে। তৃণমূলের বড়-বড় প্রতিনিধিরা এইসব কাজে অনেক আগে থেকেই জড়িত। চাকরির পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছে।’ যদিও, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নেতা।