Bardhaman TMC: মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে যাচ্ছিলেন, তার মধ্যেই আচমকা ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল কর্মী
Purba Bardhaman: নিখোঁজ ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ সাঁই (৭২)। গতকাল সকাল এগারটা নাগাদ দেহুড়া গ্রাম থেকে অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাসে চড়ে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গিয়ে নিখোঁজ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার বর্ধমান শহরের গোদার হেলথ সিটি মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তৃণমূল-কর্মী সমর্থকরা। সেই সভাস্থল থেকেই নিখোঁজ ওই তৃণমূল কর্মী।
নিখোঁজ ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ সাঁই (৭২)। গতকাল সকাল এগারটা নাগাদ দেহুড়া গ্রাম থেকে অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাসে চড়ে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এরপর বর্ধমানের বাবুরবাগে সকলে বাস থেকে নেমে হেঁটে সভাস্থলের দিকে যান। সূত্রের খবর, তখনই দলছুট হয়ে যান রবীন্দ্রনাথবাবু। সভামঞ্চে পৌঁছে অন্যান্যরা তাঁকে দেখতে পায়নি বলে খবর। সভার শেষেও বাসে উঠে রবীন্দ্রনাথবাবুকে দেখতে পাননি এলাকার বাসিন্দারা ।
বেশ খানিকক্ষণ তাঁর জন্য অপেক্ষা করে শেষমেশ তাঁকে না পেয়ে গ্রামে ফিরে যান এলাকার লোকজন। এরপর গ্রামে গিয়ে বিষয়টি জানালে পরিবারের সদস্যরা বর্ধমান ও মেমারিতে খোঁজ করেন রবীন্দ্রনাথবাবু। বিষয়টি নিয়ে জানান হয় মেমারির বিধায়ককেও। শুরু হয় খোঁজ খবর নেওয়া। জানানো হয় বর্ধমান থানায়। বস্তুত, রবীন্দ্রনাথবাবু ভেটেনারী দফতরের একজন প্রাক্তন কর্মী। তৃণমূল কর্মী হিসাবেও যথেষ্ট নাম ডাক রয়েছে তাঁর। তিনি নিখোঁজ হওয়ায় চিন্তিত এলাকার মানুষজন। রবীন্দ্রনাথবাবুর কোনও সন্তান নেই। বর্তমানে স্ত্রীকে নিয়ে দেহুড়া গ্রামে বসবাস করেন তিনি। তাঁর ভাইপো সৌমিত্র সাঁই এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁর।
এই বিষয়ে আর এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘উনি সব জায়গায় মিটিং-য়ে যান। চা পানের জন্য নীচে নেমেছিলেন। তখন বাস হয়ত ছেড়ে দেয়। ওনাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পাইনি।’
বস্তুত, আজকে পূর্ব বর্ধমানে কর্মীসভা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে বিতর্কিত মন্তব্য ইস্যুতে একবার বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা কটূ কথা বলেন, যাঁরা অপমানজনক মন্তব্য করেন তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপি কোনও ব্যবস্থা নেয়না বলেই মন্তব্য করলেন মমতা। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের সভা থেকে সেই প্রসঙ্গ তুলে আরও একবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মমতা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিজেপি ব্যবস্থা না নিলেও, তিনি ব্যবস্থা নিতে পিছপা হন না।