Awas Yojana : আবাস যোজনার তালিকা থেকে নিজের নাম কাটালেন রায়নার তৃণমূল নেত্রী, ‘ভয় পেয়েছে’, কটাক্ষ বিজেপির

Awas Yojana : বিরোধীরা অবশ্য এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। ঠেলায় পড়েই নাম কাটতে উদ্যোগী হয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। দাবি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের।

Awas Yojana : আবাস যোজনার তালিকা থেকে নিজের নাম কাটালেন রায়নার তৃণমূল নেত্রী, ‘ভয় পেয়েছে’, কটাক্ষ বিজেপির
রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহন্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2022 | 12:02 AM

রায়না: বিরোধীদের অভিযোগ, আবাস যোজনায় (Awas Yojana) বেশিরভাগ এলাকাতেই ঠাঁই পেয়েছে শাসকদল (Ruling Party Trinamool Congress) ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা। এমনকী নানা জায়গায় আবাস যোজনার তালিকায় যাচাইয়ে গেলে সরকারি কর্মীদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ সামনে এসেছে। আইসিডিএস ও অঙ্গনওয়াড়ীর কর্মীদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এবার যেন উলট পুরাণ। আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকায় সেই নাম নিজেই কেটে দিলেন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহন্ত।

বিরোধীদের অভিযোগ, পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের নাম আবাস যোজনায় তালিকায় আছে। সেই নিয়ে সার্ভে করতে গিয়েই অশান্তির ছবি দেখা যাচ্ছে রাজ্যের নানা জেলা থেকে। রোষের মুখে পড়ছেন সার্ভের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। কোথাও কোথাও আবার সরকারি আধিকারিকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এই বিতর্কের আবহে দাঁড়িয়ে রত্না মহন্তের পদক্ষেপ নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম আছে দেখতে পেয়ে নিজেই সেই নাম কেটে দেন রত্না মহন্ত। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, আগে যখন সার্ভে করা হয়েছিল সেই সময় তাঁর কোনও পাকা বাড়ি ছিল না। ছিল মাটির বাড়ি। সেই সময় সার্ভে করতে গিয়ে ছবি তোলা হয় এবং সেই অনুযায়ী এবার আবাস যোজনার তালিকায় নামও আসে তাঁর। কিন্তু, বর্তমানে তাঁর বাড়ি পাকা হয়েছে। সে কারণেই তিনি আর চান না নতুন করে বাড়ির টাকা নিতে। 

তিনি বলেন, “যখন ছবি তোলা হয়েছিল তখন আমার মাটির বাড়ি ছিল। খুবই খারাপ অবস্থা ছিল বাড়ির। এখন লিস্টে নাম এসেছে। কিন্তু, এখন সকলের সাহায্যে আমার একটা পাকা বাড়ি হয়েছে। দলের অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। সে কারণেই আমি নিজে থেকে তালিকা থেকে আমার নাম কেটে বাদ দিয়েছি। এই টাকা কোনও দুঃস্থ মানুষের উপকারে লাগবে।”

বিরোধীরা অবশ্য এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। ঠেলায় পড়েই নাম কাটতে উদ্যোগী হয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। দাবি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের। তিনি বলেন, “উনি ভয় পেয়েছেন। গোটা বাংলাজুড়ে এ বিষয়ে যেভাবে বিজেপি গণআন্দোলন গড়ে তুলছে, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতেই ওরা ভয় পেয়েছে। চাপে পড়েই এখন তৃণমূলের নেতারা চাইছেন নাম কাটাতে।” প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের শাঁখারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাহাঙ্গীর শেখের রয়েছে পেল্লাই চারতলা বিশাল বাড়ি। তবুও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম জ্বলজ্বল করছিল আবাস যোজনার তালিকায়। যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতর হয় রাজনৈতিক মহলে। শেষে বিতর্কের আবহে বাদ পড়েছিল সেই নামগুলি।