Unknown Fever: এখনও জারি জ্বরাতঙ্ক, সংক্রমণের জেরে ভয় ধরাচ্ছে ওই খুদে মুখগুলোই!

Purba Bardhaman: সূত্রের খবর, বর্ধমানে জ্বরে কাবু হয়ে পড়ছে একের পর এক শিশু। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাপ বাড়ছে।

Unknown Fever: এখনও জারি জ্বরাতঙ্ক, সংক্রমণের জেরে ভয় ধরাচ্ছে ওই খুদে মুখগুলোই!
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2021 | 9:36 PM

পূর্ব বর্ধমান:  বঙ্গে দাপট দেখিয়েছে শিশুদের অজানা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট। হয়েছে শিশুমৃত্যুও। যদিও, রাজ্য স্বাস্থ্য়ভবনের তরফে দাবি ছিল এই জ্বর কোনও অজানা জ্বর নয়। কিন্তু তারপরেও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে কই? উত্তর থেকে দক্ষিণেও থাবা গেড়েছে এই জ্বর। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে রোজই একটু একটু  করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

সূত্রের খবর, বর্ধমানে জ্বরে কাবু হয়ে পড়ছে একের পর এক শিশু। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাপ বাড়ছে।  ১২০ শয্য়ার জেনারেল ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালে অতিরিক্ত ৬৫ টি শয্য়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায়  নতুন করে খোলা হচ্ছে অ্যাকুয়েট রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা এআরআই ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে। চলতি মাসে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে ৯ জন শিশু। সব থেকে খারাপ অবস্থা ৬ মাস ও তার নীচের বয়সি শিশুদের।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুধবার পর্যন্ত জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্য়া ১৩০। সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সদ্যোজাতরা। যে ৯জন শিশু মারা গিয়েছে তাদের প্রত্য়েকেরই বয়স ছয় মাসের কম। আর এই মৃত্যুহারই ভাবাচ্ছে চিকিত্‍সকদের। শিশু বিভাগীয়  প্রধান কৌস্তভ নায়েক জানিয়েছেন, এই শিশুরা হালকা ঠাণ্ডা লাগার উপসর্গতে আক্রান্ত হলেও অচিরেই তা শ্বাসকষ্টের রূপ নিচ্ছে এবং ধীরে ধীরে তা জটিল আকার ধারণ করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, চলতি মাসে প্রায় ১২০০ শিশু এই জ্বর শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে কারুরই করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি। নয়জন বাদে বাকি সকলকেই বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। ওষুধ অক্সিজেন, বেড সবই পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে বলে দাবি চিকিত্‍সকের।

রাজ্য জুড়ে অজানা জ্বরের এই দাপটকে ‘মরসুমি জ্বর’ বলেই ব্যাখ্যা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আশ্বাস দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্বরের প্রাদুর্ভাব নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, “বছরের এ সময় প্রতিবার‌ই শিশুদের মধ্যে ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। এ বছর সংখ্যাটা বেশি। তার মানে ‌এই নয় যে কিছুই ঘটেনি। রোগ যখন হচ্ছে। শিশুদের আইসিইউয়ে ভর্তি যখন করতে হচ্ছে তখন কিছু একটা কারণ‌ও নিশ্চিত রয়েছে।” পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কী কী পদক্ষেপ করতে চলেছে তাও স্পষ্ট করেন স্বাস্থ্য় অধিকর্তা।

রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, জ্বরের কারণ খুঁজতে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভাইরাস প্যানেলে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি, উপসর্গের নিরিখে কী ধরনের চিকিৎসা করতে হবে সেই সংক্রান্ত প্রোটোকল বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত তা জেলাস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ভাইরাল প্যানেলে পরীক্ষা খরচসাপেক্ষ। তাই কোভিড, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, স্ক্রাব টাইফাস ধরা না পড়লে ভাইরাস প্যানেল করতে বলা হয়েছে। পিএম কেয়ার্সে পাওয়া ভেন্টিলেটরকে পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটর, হাই ফ্লো ন্যাজাল অক্সিজেন মাস্কে রূপান্তরিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাড়তি HFNO দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:  Dinhata: গীতালদহ গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা মফজুর রহমান

আরও পড়ুন: Dinhata: ‘গৌরী লঙ্কেশের মতো অবস্থা হবে’, TV9-এর চিত্র সাংবাদিককে হুমকি উদয়ন-ভাইপোর!