Sukanta Majumder: ‘নপুংসক পুলিশকে একমাত্র সোজা করতে পারে বিজেপি’, নির্ঘোষ সুকান্তের
BJP:রাজ্য পুলিশের সমালোচনা করা বিজেপির এই প্রথম নয়। বিভিন্ন সময়েই বিজেপি নেতাদের মুখে রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে।
কাটোয়া: বিক্ষোভের রেশ কাটেনি। দাঁইহাটে বিজেপির সাংগঠনিক সভায় রীতিমতো তুমুল গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ ওঠার পরেও ওই সভা থেকেই সরাসরি রাজ্য প্রশাসনের দিকে আঙুল তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। এদিন, রাজ্যপুলিশকে ‘নপুংসক’ বলে আখ্যা দিলেন তরুণ বিজেপি নেতা।
বিজেপির সাংগঠনিক সভা থেকে সুকান্ত এদিন কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “নপুংসক রাজ্য় পুলিশকে একমাত্র সোজা করতে পারবে বিজেপি (BJP)। সন্ত্রাসের জন্য অপেক্ষা করবেন না। সন্ত্রাসের মোকাবিলায় দশ-বিশ-ত্রিশ জন মিলে টিম তৈরি করুন। থানায় যান। বড়বাবুর সঙ্গে কথা বলুন। বড়বাবু যদি আপনারদের কথা না শোনেন তাহলে থানার সামনে অবস্থান করুন। পুলিশ ঠিক কাজ করবে। এ রাজ্যের পুলিশের মেরুদণ্ড নেই। আপনারা লড়াইয়ে নামুন। তবেই দলের লাভ হবে। দুই কোটি আটাশ লক্ষ মানুষ আপনাদের মনে রাখবেন। বিজেপিই পরিবর্তন আনবেন।”
যদিও, রাজ্য পুলিশের সমালোচনা করা বিজেপির এই প্রথম নয়। বিভিন্ন সময়েই বিজেপি নেতাদের মুখে রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন পদ্ম নেতারা। এ বার ফের সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন সুকান্ত।
প্রসঙ্গত, বিজেপির (BJP) বৈঠক ঘিরে তুমুল গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ ওঠে এই দাঁইহাটেই। এই কোন্দল ঘিরে ভাঙচুর, মারামারি, ধুন্ধুমার কাণ্ড শুক্রবার সকালে। ঘটনার সময় ওই দলীয় কার্যালয়ের ভিতরেই বসে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দিলীপ ঘোষের এই ধরনের অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে। তবে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রথমবার এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে কিছুটা হতবাকই হন। যদিও তাঁর বিশ্বাস, ‘এরা বিজেপির কর্মী নয়। বিজেপির পতাকা নিয়ে কেউ বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুর করতেই পারে না।’
ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে ওই বিজেপি কার্যালয়ে। চেয়ার ভাঙচুর, ধাক্কাধাক্কি, চড় চাপাটি থেকে বিজেপির পতাকা লাগানো লাঠি দিয়ে দলীয় কর্মীদেরই মারামারি — বাদ যায়নি কিছুই। যদিও বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, “আমাদের কোনও ভাঙচুর হয়নি। প্রতিবাদ একটু চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর কিছুই না। আমরা যারা কাউন্টিংয়ে ছিলাম মরতে মরতে বেঁচেছি। ৬৮ জন কর্মী আহত হয়েছেন, ২৬টা বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। ৭টা গুমটি ভাঙচুর হয়েছে। জেলা সভাপতি ও মণ্ডল সভাপতিদের বার বার ফোন করলেও আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমরা অবহেলিত অবস্থায় ছিলাম।”
অভিযোগকারীরা জানান, “এখানে আমাদের রাজ্য সভাপতি ও দিলীপ ঘোষের বৈঠক। আমাদের বলা হয়েছিল সাড়ে তিনটের সময় বৈঠক হবে। কিন্তু চোরের মতো চুপি চুপি ১১টার সময় এখানকার জেলা নেতারা ওই বৈঠক সেরে ফেলতে চাইছেন। কারণ একটাই। এই জেলায় প্রচুর ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা ভোটের পর মার খেয়েছেন। পরবর্তী সময়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন, ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই যে জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ থেকে শুরু করে জেলা কমিটির কেউ আসেনি। ওরাই আজ চুপি চুপি বৈঠকটাও সেরে ফেলতে চাইছিল। ওদের লক্ষ্য কোনও ভাবেই রাজ্য সভাপতির কাছে যাতে বার্তা না যায়, এ জেলার দলের ভিতর বিক্ষোভ আছে। এর জন্য দায়ী দিলীপ ঘোষ। এই জেলা সভাপতিকে বাঁচানোর জন্যই উনি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ঘুরছেন। দিলীপ ঘোষের সায় রয়েছে।” যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিলীপ।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: উত্তরবঙ্গ সফর শেষেই গোয়ায় পাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর, সাগরপারে ঘর গোছাতে ব্যস্ত তৃণমূল