CPIM-TMC Clash: সিপিএমের লোকেরা মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর
Purba Burdwan: আক্রান্ত সালাউদ্দিনের দাবি, "তিনদিন ধরেই ঝামেলা চলছে। আমরা ঝামেলায় জড়াতে চাই না। অথচ আজ আমাদের বাড়ির মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে মেরেছে। আজ আমার মামিমাকে মেরেছে। আমি যেতেই আমার উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে মারে।"
পূর্ব বর্ধমান: ভোটের মনোয়নপর্ব থেকে যে হিংসা শুরু হয়েছে, ফলপ্রকাশের আগেরদিনও তা বহাল। সোমবার সিপিএম ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রবল অশান্তির অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের কালুত্তক গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রাম্য বিবাদ দিয়ে শুরু হলেও মুহূর্তে তা রাজনৈতিক অশান্তির চেহারা নেয়। স্থানীয় সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীরা তাতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। হাতাহাতিতে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন বলেও জানা যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় ভাতার থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের দু’পক্ষের বিবাদ শুরু হয় টিপ্পনি কাটাকে কেন্দ্র করে। সেই ঝামেলাই চরম আকার নেয় মুহূর্তে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সালাউদ্দিন শায়ের বক্তব্য, বিকালে বাড়ির মহিলাদের মারধর করে স্থানীয় সিপিএমের কয়েকজন। প্রতিবাদ করায় রড, লাঠি, ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চলে বলেও অভিযোগ। তাতে সালাউদ্দিনও জখম হন। মাথায় ৯টা সেলাই পড়ে বলে জানান তিনি। তাঁকে ভাতার হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আক্রান্ত সালাউদ্দিনের দাবি, “তিনদিন ধরেই ঝামেলা চলছে। আমরা ঝামেলায় জড়াতে চাই না। অথচ আজ আমাদের বাড়ির মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে মেরেছে। আজ আমার মামিমাকে মেরেছে। আমি যেতেই আমার উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে মারে।”
এক গ্রামবাসী মালা বেগম আবার দাবি করেন, এতদিন তৃণমূল করলেও ভোটের আগে সিপিএমের সমর্থনে নামেন তাঁরা। তাতেই শাসকদলের বিরাগভাজন হন। দুই মহিলারও গায়ে হাত তোলা হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য বক্তব্য, এখানে তাঁদের জড়ানোর কোনও প্রশ্নই নেই। ফল প্রকাশের আগের দিন তাঁদের সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেয় তৃণমূলের লোকেরা। যদিও গ্রামবাসী তা রুখে দেয়।