Bengal BJP: ভোট মিটতেই কাঁথিতে পদ হারালেন বিজেপির ১১ মণ্ডল সভাপতি, জমছে চাপা ক্ষোভ
BJP Mondal President Change: কাঁথি সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি অনুপ কুমার চক্রবর্তী প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। অভিযোগ, দলীয় সিস্টেম মেনে মণ্ডল সভাপতি বাছা হয়নি।
কাঁথি: পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিজেপির মণ্ডল স্তরের সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় ৩১ জন মণ্ডল সভাপতির তালিকা তৈরি করেছে জেলা নেতৃত্ব। সেখানে অনেকে জায়গাতেই নতুন মুখদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পুরনোদের পদ ছাড়তে হয়েছে। ৩১টি মণ্ডলের মধ্যে ১১টিতেই নতুনদের দায়িত্বে আনা হয়েছে। আর এই রদবদল ঘিরেই পদ্ম শিবিরের একাংশের অন্দরে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। যেমন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি অনুপ কুমার চক্রবর্তী প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। অভিযোগ, দলীয় সিস্টেম মেনে মণ্ডল সভাপতি বাছা হয়নি।
আর যাঁরা সদ্য মণ্ডল সভাপতির পদ হারিয়েছেন, তাঁদেরও একাংশ সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতির এই পোস্ট শেয়ার করতে শুরু করেছেন। রামনগর-২ মণ্ডলের সভাপতির পদ থেকে সদ্য সরতে গিয়েছেন অনির্বাণ চন্দ। তিনিও দাবি করছেন, ‘অনুপদা সঠিক কথা বলেছেন।’ দলীয় নিয়ম মেনে সাংগঠনিক রদবদল হয়নি বলে সরব হলেও, এই নিয়ে তাঁর মনে কোনও ক্ষোভ নেই বলেও জানিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল কাঁথি সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর সঙ্গেও। তিনি অবশ্য এই নিয়ে বিশেষ কিছু মুখ খুলতে চাননি। বলছেন,’আমি সাংগঠনিক লোক। যেটুকু বলার, তা ফেসবুক পোস্টে বলেছি। এর বাইরে আর কিছু আপাতত বলার নেই।’
মণ্ডল সভাপতি পদে এই রদবদল ঘিরে প্রশ্ন করা হয়েছিল কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি অসীম মিশ্রর সঙ্গেও। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলের প্রত্যেকেই লড়াইয়ে সামিল রয়েছেন। এখানে দলের মধ্যে কারও মনে কোনও ক্ষোভ বা মন খারাপের বিষয় নেই বলেই দাবি তাঁর। সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতির বক্তব্য, দলীয় নেতা-কর্মীদের এই লড়াইয়ের মানসিকতাই সংগঠনের চাবিকাঠি। যোগাযোগ করা হয়েছিল বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের সঙ্গেও। তাঁর অবশ্য ব্যাখ্যা, দলের নির্দেশ মতোই মণ্ডল সভাপতিদের বদল হয়েছে। সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি যে অভিযোগ করছেন, তা সঠিক নয় বলেই দাবি সুদাম পণ্ডিতের।
যদিও বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল শিবির। শাসক দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণ মাইতির বক্রোক্তি, ‘এই ঘটনা প্রমাণ করে, বিজেপির নীচুতলায় কোনও সংগঠন নেই।’ মণ্ডল সভাপতি বদল করে নেতৃত্বের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা চলছে বলেই মত তাঁর।