Durga Puja: জঙ্গলে আবির্ভাব দেবী সিংহবাহিনীর, তাঁর কৃপায় পূরণ হয় সব মনস্কামনা

Durga Puja: শোনা যায়, অতীতে বৈকুণ্ঠ মণ্ডল নামে এখানে এক জমিদার ছিলেন। তিনিই নাকি দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে মন্দির থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তুলাঘাটার জঙ্গল থেকে সোনার দুর্গা মূর্তি খুঁজে পান। জঙ্গলের মধ্যেই দেবীর আবির্ভাব হয়েছিল।

Durga Puja: জঙ্গলে আবির্ভাব দেবী সিংহবাহিনীর, তাঁর কৃপায় পূরণ হয় সব মনস্কামনা
সোনাচূড়ার সিংহবাহিনী মন্দিরের দেবী প্রতিমাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2023 | 3:41 PM

নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া। প্রায় দেড়’শো বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে পূজিতা হয়ে আসছেন দেবী সিংহবাহিনী। মা দুর্গা এখানে সিংহবাহিনী রূপেই পূজিত। কথিত আছে, এই গ্রামের নাম আগে সোনাচূড়া ছিল না। আগে নাম ছিল গুমগড়। অনেক আগে এখানে দেবী সিংহবাহিনীর সোনার মূর্তি ছিল। সেই থেকেই গ্রামের নাম হয়েছে সোনাচূড়া।

গ্রামে দেবী সিংহবাহিনীর একটি মন্দিরও রয়েছে। লোকমুখে কথিত আছে, দেবী এখানে ভীষণ জাগ্রত। শোনা যায়, অতীতে বৈকুণ্ঠ মণ্ডল নামে এখানে এক জমিদার ছিলেন। তিনিই নাকি দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে মন্দির থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তুলাঘাটার জঙ্গল থেকে সোনার দুর্গা মূর্তি খুঁজে পান। জঙ্গলের মধ্যেই দেবীর আবির্ভাব হয়েছিল। তারপর সেই মূর্তি তিনি নিয়ে আসেন বাড়িতে। এরপর দেবীর আরও এক স্বপ্নাদেশ পান তিনি। দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে গ্রামে দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন জমিদারমশাই। দেবী দুর্গা সিংহের উপর দাঁড়িয়ে অসুরকে বধ করেছিলেন। সেই থেকেই মন্দিরের নাম হয় সিংহবাহিনী।

তবে সেই সোনার মূর্তি এখন আর নেই। শোনা যায়, মহিষাদলের রাজা তৎকালীন গুমগড়ের জমিদারের থেকে জোর করে সেই মূর্তি কেড়ে নিয়েছিলেন। মহিষাদলের রাজা সেই মূর্তি জোর করে নিয়ে যাওয়ার সময় দেবী মূর্তির সোনার চূড়া খুলে পড়ে গিয়েছিল। সেই থেকেই গ্রামের নাম হয় সোনাচূড়া।

সিংহবাহিনী মন্দিরের পাশেই থাকেন সেই জমিদার পরিবারের বংশধর প্রবীর মণ্ডল। তিনি জমিদার বৈকুণ্ঠ মণ্ডলের নাতি। প্রবীরবাবু বলছেন, ‘দেবী খুবই দয়াশীল ও জাগ্রত। গ্রামবাসীরাই এখন পুজো করেন দেবীর।’ মন্দির কমিটির সদস্য দেবব্রত প্রামাণিক জানাচ্ছেন, অনেকেই নাকি দেবীর দর্শন পেয়েছেন আশপাশের এলাকায়। দেবীর কাছে প্রার্থনা করে অনেকের অনেক মনস্কামনা পূরণও হয়েছে। এখন আর সেই সোনার মূর্তি না থাকলেও, দেবীর মন্দির আছে। প্রতি বছর ভক্তিভরে দেবীর পুজো হয়।