DA Agitation: জেলা সফরে মমতা, এরই মধ্যে তৃণমূলের শিক্ষা সেল ছাড়লেন ২৩ শিক্ষক

DA Protest: মহার্ঘভাতার দাবিতে যখন আন্দোলন আরও জোরালো করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ, সেই সময় তৃণমূলের শিক্ষক সেল থেকে একসঙ্গে ২৩ শিক্ষক বেরিয়ে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

DA Agitation: জেলা সফরে মমতা, এরই মধ্যে তৃণমূলের শিক্ষা সেল ছাড়লেন ২৩ শিক্ষক
তৃণমূলের শিক্ষা সেল ছাড়লেন হলদিয়ার ২৩ শিক্ষক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 05, 2023 | 9:03 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বর্তমানে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে। আর এরই মধ্যে হলদিয়ায় তৃণমূলের শিক্ষা সেলের ভাঙন। হলদিয়ায় সুতাহাটা জয়নগর হাইস্কুলের ২৩ জন শিক্ষক একসঙ্গে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের শিক্ষক সেল থেকে। মহার্ঘভাতার দাবিতে যখন আন্দোলন আরও জোরালো করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ, সেই সময় তৃণমূলের শিক্ষক সেল থেকে একসঙ্গে ২৩ শিক্ষক বেরিয়ে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। জানা যাচ্ছে, যারা তৃণমূলের শিক্ষক সেল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা গত ১০ মার্চ কাজে আসেননি। ওইদিনে মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। এদিকে কাজে না আসার জন্য শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছিল ওই শিক্ষকদের। এবার তৃণমূলের শিক্ষক সেলের সঙ্গ ত্যাগ করলেন ওই ২৩ শিক্ষক।

যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম জয়নগর হাইস্কুলের শিক্ষক তাপস কর। তাঁর বক্তব্য, ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষক সেলের কোনও পদক্ষেপ তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। সেই কারণেই শিক্ষক সেলের সদস্যপদ ছেড়েছেন। ওই শিক্ষকের কথায়, মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। সেক্ষেত্রে এত বড় আন্দোলনে তৃণমূলের শিক্ষক সেন যদি সঠিক পদক্ষেপ করত, তাহলে আন্দোলন আরও ভাল হত বলেই মনে করছেন তিনি।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র সাউ বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে আমাকে যুক্ত থাকতে হয়। আমি সহমর্মী হলেও কিছু করতে পারছি না।’ প্রধান শিক্ষকের কথায়, পদত্যাগকারীরা কিছু মন্তব্যে আঘাত পেয়েছেন। তবে কোন মন্তব্যের কথা তিনি বলছেন, সেই বিষয়টি খোলসা করেননি।

WBTST এর সংগঠনের সুতাহাটা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক উৎপল নায়েক অবশ্য এই নিয়ে ইস্তফা দেওয়া শিক্ষকদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলছেন, যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা আন্তরিকভাবে শিক্ষক সেলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এই ইস্তফাতে সংগঠনের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই দাবি তাঁর। যদিও এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপি শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘পঞ্চায়েতের আগে এর দ্বারা উচিত শিক্ষা পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষক মহল ও কর্মচারীরা সকলে মিলে জোট বেধে পদক্ষেপ করছে।’