Sikkim Avalanche: প্রীতমের দেহ আনতে সিকিম রওনা দিলেন কাকা-বোন, ছেলের মৃত্যুর কথা এখনও জানেন না বাবা-মা
Sikkim Avalanche: প্রীতমের আদি বাড়ি রামনগর থানার বসন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মকুন্দপুরের সাগরেশ্বর গ্রামে। গত শুক্রবার রামনগরের বাড়িতে গৌরাঙ্গ পুজো কাটানোর পর কলকাতায় ফিরে যান তিনি।
রামনগর : মঙ্গলবার ছাঙ্গু থেকে নাথু লা যাওয়ার পথে তুষারধসের (Sikkim Avalanche) মধ্যে পড়ে প্রাণ যায় ৭ পর্যটকের। তাঁদের মধ্যে দুজন বাংলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছিল। মৃতদের তালিকায় থাকা প্রীতম মাইতির (৩৭) বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) রামনগরে। বিদ্যুৎ দপ্তরের ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন প্রীতম। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। ইতিমধ্যেই দেহ আনতে সিকিমে চললেন বোন ও কাকা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত ৮০টি গাড়ি-সহ ৩৫০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন বহু পর্যটক। এদিকে এ ঘটনার পর বুধবারও নাথু লা পাস ও ছাঙ্গু লেকের রাস্তা রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘুরপথে সিল্ক রুটে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের।
প্রীতমের আদি বাড়ি রামনগর থানার বসন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মকুন্দপুরের সাগরেশ্বর গ্রামে। গত শুক্রবার রামনগরের বাড়িতে গৌরাঙ্গ পুজো কাটানোর পর কলকাতায় ফিরে যান তিনি। কলকাতায় মানিকতলার কাছে একটি আবাসনে স্ত্রী শিউলি মাইতি(২৯) ও বছর পাঁচেকের পুত্রকে নিয়ে থাকতেন প্রীতম। জানা যাচ্ছে, গত রবিবার কিছু পরিচিতদের সঙ্গে সিকিমে ভ্রমণের উদ্দেশে গিয়েছিলেন। এলাকায় বিদ্যুৎ দফতরের বড় মাপের ঠিকাদার হিসাবে পরিচিতি ছিল প্রীতমবাবুর। আরও জানা যাচ্ছে, ২০১০ সাল থেকে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত তিনি। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন। পরিবারের বাবা-মা ছাড়াও রয়েছে এক বোন। তাঁর বাবা পূর্ণচন্দ্র মাইতি (৬৪) ও মা জ্যোৎস্না মাইতি (৫৮)। বোন কলকাতায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও মানসিক অবস্থার কথা ভেবে প্রীতমের বাড়িতে এখনও তাঁর মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।
এমনকী তাঁর গ্রামে গেলেও বাড়িতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের। দেওয়া হচ্ছে বাধা। শোকের ছায়া গোটা গ্রামেই। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিতাই চরম সার। তিনি বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ব্যবসার কারণে উনি কলকাতায় থাকতেন। এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবেই ওকে সবাই চিনত। প্রতীমের মৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত। শোকের আবহ রয়েছে গোটা গ্রামেই। আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। যদিও ওর বাবা-মা এখনও মৃত্যুর খবর জানে না। ওর পরিবারের লোকজন ইতিমধ্যেই মৃতদেহ আনতে গিয়েছে।”