Abhijit Gangopadhyay: বললেন কেবল একটাই লাইন, পুজো সেরেই তৃণমূল সম্পর্কে প্রথম এহেন বোমা ফাটালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
Abhijit Gangopadhyay: প্রথমে তমলুকে বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এরপর তমলুকে বর্গভিমা মন্দিরে পুজো দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখান থেকেই সোজা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে চলে যান।
তমলুক: তমলুকে বর্গভিমা মন্দিরের পুজো দিয়ে ‘২৬ সালে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসকে বিসর্জন দেওয়ার হুঙ্কার দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বিস্ফোরক দাবি, করলেন, “৫০০-১০০০ টাকা দিচ্ছে, প্রতিদিন ১ কোটি টাকা করে চুরি করছে তৃণমূল।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! বিজেপি-র পক্ষ থেকে তমলুক লোকসভা আসন প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। আগেভাগেই কর্মী সমর্থকরা কলকাতা হাইকোর্টে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়ার লিখন হয়েছে। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভায় একাধিক কর্মসূচিতে এলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রথমে তমলুকে বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এরপর তমলুকে বর্গভিমা মন্দিরে পুজো দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখান থেকেই সোজা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে চলে যান। তমলুক লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য সম্পর্কে ‘একদিকে গঙ্গা অন্যদিকে নর্দমা’ বলে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেন কলকাতা হাইকোর্টে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ” আমার একটা আবেদন থাকবে তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। তৃণমূলের জালিয়াতি ও দুর্নীতি দেখলাম। এই দুর্নীতি গ্রস্ত সরকারকে সরিয়ে ২০২৬ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসতে হবে। ৫০০-১০০০ টাকা দিচ্ছে, প্রতিদিন এক কোটি টাকা করে চুরি করছে। এটাকে ধ্বংস করতে হবে। আগে নাম ঘোষণা হোক তারপর তো সংসদে যাবো।”
কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্কে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মানুষ গ্রহণ করেছে। সমস্যাটা হচ্ছে তোলামূলের। এসব লোক রাজনীতিতে এলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী অবস্থা হতে পারে, ভবিষ্যতে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছে।”