Trinamool Leader: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে পোস্টারে বেঁধে মার গ্রামবাসীর, ‘দোষ’ কবুল অভিযুক্তের
Trinamool Leader: অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সঞ্জু গুড়িয়া। অভিযোগ, জল প্রকল্পে চাকরি করে দেওয়ার নামে এলাকায় মানুষের কাছে টাকা নিয়েছিলেন তিনি।
কাঁথি: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ বর্তমানে জেলে বন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এমনকী বন্দি দশায় জীবন কাটাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির। যা নিয়ে শোরগোল অব্যাহত রাজনৈতিক মহলে। অস্বস্তি বাড়ছে শাসক তৃণমূলের (Trinamool Congress)। এরইমধ্যে ফের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও হয়নি চাকরি। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল এলাকার বাসিন্দারা। পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হল অভিযুক্তকে। চাঞ্চল্য়কর এ ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রামে আমদাবাদ দু’নম্বর অঞ্চল ১৭৬ নম্বর রানিচক বুথে।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সঞ্জু গুড়িয়া। সূত্রের খবর, জল প্রকল্পে চাকরি করে দেওয়ার নামে এলাকায় মানুষের কাছে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চাকরি তো হয়নি। এমনকী যে টাকা নিয়েছিলেন তাও ফেরত দেয়নি। যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা এর আগে একাধিকবার তাঁর কাছে টাকার দাবিতে দরবার করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। সেই রাগেই এদিন অভিযুক্ত সঞ্জু গুড়িয়ে গাছে বেঁধে ধোলাই দিল গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশই শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক অভিযোগকারী গ্রামবাসী বলেন, “আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেয় জল প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার নাম করে। বলেছিল ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে চাকরি দিয়ে দেবে। তারপর ইন্টারভিউ হবে। নিয়োগ হয়ে যাবে। তারপর থেকে ২ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু চাকরি হয়নি। ও রাণীচকের ১৭৬ নম্বর বুথের সভাপতি।” এদিকে মারমুখী জনতার সামনেই নিজের ‘দোষ’ কবুল করতে দেখা যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। তিনি বলেন, “ও যেটা বলছে সেটা ঠিক। গ্রাম পঞ্চায়েতে আলোচনার পরে দলকে টাকা দেওয়া হয়। পার্টি ফান্ডে গিয়েছে টাকা।” কড়া প্রতিক্রিয়া এসছে পদ্ম শিবিরের তরফে। বিরুলিয়ায় বিজেপির মন্ডল সভাপতি অরূপ জানা বলেন, “গোটা তৃণমূল দলটাই চোর ডাকাতে ভরে গিয়েছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গজুড়েই এরা আছে। পুরো দলটাই পচে গিয়েছে। এদেরকে দ্রুত দেশছাড়া করতে হবে।” যদিও এ প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে। নন্দীগ্রাম ২-এর প্রাক্তন বল্ক সভাপতি মহাদেব বাগকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। যদিও শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।