Attack on BJP: ‘ভোর রাতে টেনে নিয়ে গেল…’, উত্তপ্ত নন্দীগ্রামে এবার অভিযোগ বিজেপির
Attack on BJP: কেশবপুরের বাসিন্দা রবীন হালদার। তাঁর দাবি, পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের লোকজন গিয়ে হামলা চালিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ভোর ৩ টে-৪টের দিকে কিছু লোকজন পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতে বলে। তারপর দরজা ভাঙার চেষ্টা হয়।
নন্দীগ্রাম: ভোটের মুখে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। তৃণমূল নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ সামনে আসার পরই পাল্টা অভিযোগ তুলল বিজেপি। কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে, এমন সব অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে এলাকা। বৃহস্পতিবার রবীন হালদার নামে এক বিজেপি কর্মী দাবি করেন, ভোর রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছেন তিনি। তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। তবে তৃণমূলের দাবি, বিজেপি গা বাঁচাতেই এসব বলছে।
কেশবপুরের বাসিন্দা রবীন হালদার। তাঁর দাবি, পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের লোকজন গিয়ে হামলা চালিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ভোর ৩ টে-৪টের দিকে কিছু লোকজন পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতে বলে। তারপর দরজা ভাঙার চেষ্টা হয়। ওই ব্যক্তি বলেন, “আমরা লুকিয়ে গিয়েছিলাম। টেনে বের করে রাস্তায় নিয়ে গিয়েছিল। তারপর ছেড়ে দিয়েছে। প্রায় ৩০-৩৫ জন লোক এসেছিল। সারা রাত ধরে তাণ্ডব চলেছে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি করি বলে এই অত্যাচার। আমাদের আর কোনও দোষ নেই।”
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সাহেব দাস বলেন অভিযোগ একেবারে সত্যি। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে বিজেপিকে বদনাম করে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। এক সদস্যকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে মিলেই তৃণমূল যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।”
তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, “বিজেপি সবসময় মিথ্যাচার করছে। বাংলার মানুষের গায়ে কালি লাগানো হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ পুলিশের কাজ করছে।”
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের গোকুলনগর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুধবারই। এদিন মহেশপুরে ই এক পথসভার ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। সেই সভা শেষে ফেরার পথেই বৃন্দাবনচকের কাছে একদল দুষ্কৃতী তৃণমূলের কর্মীদের উপর চড়াও হয় ও বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। কয়েকজন আহতও হন।