Nandigram: তেতে উঠছে নন্দীগ্রাম, জ্বলছে আগুন, নেপথ্যে রাজনৈতিক হামলা নাকি গোষ্ঠী সংঘাত

TMC-BJP: সভা শেষে ফেরার পথেই বৃন্দাবনচকের কাছে একদল দুষ্কৃতী তৃণমূলের কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু'জন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁজদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। এদিকে স্থানীয় তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে।

Nandigram: তেতে উঠছে নন্দীগ্রাম, জ্বলছে আগুন, নেপথ্যে রাজনৈতিক হামলা নাকি গোষ্ঠী সংঘাত
নন্দীগ্রামের ঝামেলাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 06, 2024 | 9:04 PM

নন্দীগ্রাম: লোকসভা ভোটের মুখে তেতে উঠছে বঙ্গ রাজনীতির বাতাবরণ। আগামী ১০ তারিখ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন রয়েছে। সেই জনগর্জনের প্রস্তুতি সভা চলছে জেলায় জেলায়। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেশপুরে সেরকমই এক প্রস্তুতি পথসভার ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। সেই সভা শেষে ফেরার পথেই বৃন্দাবনচকের কাছে একদল দুষ্কৃতী তৃণমূলের কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু’জন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। এদিকে স্থানীয় তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে।

জানা যাচ্ছে, যে দু’জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন তাঁরা হলেন অশোক দাস ও ভরত দাস। এঁদের মধ্যে অশোক দাস আবার এলাকার প্রাক্তন প্রধানও। এদিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে রাস্তা অবরোধ করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রাম-তেখালি সংযোগকারী রাস্তা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে নন্দীগ্রাম থানা ও তেখালি ফাঁড়ির পুলিশ। আজকের হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা।

তবে এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সাহেব দাস। তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এরা নিজেরা মারপিট করে বিজেপির নামে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। নিজেরা মারপিট করছে আর বিজেপির জুজু দেখছে। যখনই এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, বিজেপির নামে চাপিয়ে দিচ্ছে। আর পুলিশ-প্রশাসন সব এদের। তারপরও যদি এভাবে বিক্ষোভ দেখায়, সেটা দুর্ভাগ্যের বিষয়।’