Nandigram BJP: ভরসন্ধ্যায় ঘিরে ফেলেছিল তিনটি বাইক, হাতে ধারাল অস্ত্র, বিস্ফোরক অভিযোগ নন্দীগ্রামের বিজেপি নেত্রীর

Nandigram BJP: অভিযোগ, সামনে একটি বাইক থামিয়ে ডান কাঁধে আঘাত করার চেষ্টা করা হয় তাঁকে। তৎক্ষণাৎ তিনি কাঁধ সরিয়ে নেন বিজেপি নেত্রী। ছুরিতে চাদর, ব্লাউজ ছিঁড়ে যায় বলে অভিযোগ।

Nandigram BJP: ভরসন্ধ্যায় ঘিরে ফেলেছিল তিনটি বাইক, হাতে ধারাল অস্ত্র, বিস্ফোরক অভিযোগ নন্দীগ্রামের বিজেপি নেত্রীর
বিজেপি নেত্রী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 8:58 PM

নন্দীগ্রাম : ভরসন্ধ্যায় রাস্তার মাঝে ধারাল অস্ত্র নিয়ে বিজেপি নেত্রীকে আঘাত করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। সোমবারই নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মামণি জানা নামে ওই বিজেপি নেত্রী। তাঁর দাবি, বিজেপি করার অপরাধে ও তৃণমূলের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্যই এভাবে তাঁকে আঘাত করা হয়েছে। ঘটনায় শাসক শিবিরের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। তবে এই ঘটনার দায় সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, বিজেপির একাধিক গোষ্ঠী থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নন্দীগ্রামে এমন অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই।

মামণি জানা নন্দীগ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তর মণ্ডলের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী। তাঁর বাড়ি নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সামসাবাদ এলাকায়। এক বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা হয় ওই নেত্রীর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে, নন্দীগ্রাম থানা এলাকায়। তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছি। বিজেপি করছি। সে কারণে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমরা বিশ্বাস তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুনের পরিকল্পনা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাকে এভাবে দমানো যাবে না। আমি ভয় পাব না। এগিয়ে যাব। দুষ্কৃতীদের শাস্তি দেব।’

তিনি জানান, সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে এক বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে কাজ মিটিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন। তিনি জানান, অন্ধকারে সে সময় রাস্তায় বেরিয়ে দেখেন ৩ টি বাইক দাঁড়িয়ে আছে। একটি বাইক আলো জ্বালছে, আর নেভাচ্ছে। তিনি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একটি বাইক আসে। মামণি জানার দাবি, বিপদ বুঝে পাশে সরে যান তিনি। এরপর সামনে একটি বাইক থামিয়ে ডান কাঁধে আঘাত করার চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ তিনি কাঁধ সরিয়ে নেন। ছুরিতে চাদর, ব্লাউজ ছিঁড়ে যায় বলে অভিযোগ। সে সময় বাকি দুটো বাইক পিছনে ছিল। এরপর আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা আবার আঘাত করার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি চীৎকার করলে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। হেলমেটে প্রত্যেকের মুখ ঢাকা ছিল বলে জানিয়েছেন নেত্রী, পরণে ছিল কালো জ্যাকেট। কাউকেই দেখতে পাননি তিনি।

বিজেপি নেত্রীর দাবি, শাসক দল এভাবে তাঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু তিনি ভয় পাননিস আগামিদিনেও পাবেন না। এদিকে এই ঘটনায় ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘এতটা খারাপ অবস্থা হয়নি যে বিজেপির কাউকে আক্রমণ করে তৃণমূলকে জায়গা করে নিতে হবে।’ এতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই দায়ী বলে মনে করছেন তিনি।