Gaza Israel Conflict: ‘নিরাপদে আছি’ ভিডিয়ো বার্তা দীপনের, পরিবারের সঙ্গে কথা নীলাদ্রির
Gaza Israel Conflict: হিন্দমোটরে রয়েছেন দীপনের মা তন্দ্রা চৌধুরী। ছেলের সঙ্গে কথা হচ্ছে রোজই। ছেলে নিরাপদে আছে জেনে নিশ্চিত তিনি। ইজরায়েলে যাওয়ার আগে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তারপর চেন্নাইয়ে পিএইচডি করেছে দীপন।
হুগলি: ইজরায়েলে নিরাপদেই আছেন হুগলির বাঙালি গবেষক দীপন চৌধুরী। ভিডিয়ো বার্তায় জানালেন সে কথা। হুগলির হিন্দমোটর শিবতলা স্ট্রিটের বাসিন্দা দীপন মে মাসেই ইজরায়েল গিয়েছেন। তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে ইজরায়েল হামাস যুদ্ধে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়দের পরিবার। উত্তরপাড়ারই তিন গবেষক রয়েছেন তেল আভিভ ও হাইফায়। ভিডিয়ো বার্তায় দীপন জানিয়েছেন, তিনি যেখানে আছেন সেখানে প্রায় দুশো জন ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, তার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন নিজেদের মধ্যে। ভারতীয় দূতাবাসও খুব কাছে থাকায় যে কোনও আপডেট থাকলে তারা জানতে পারছেন।
মিসাইল ছাড়লে রকেট বাজছে। সেই সাইরেন শুনে আয়রন ডোমে শেল্টার নিতে হচ্ছে তাঁদের। তবে জল খাবার বা প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব নেই। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইজরায়েলের নাগরিক, যাঁরা তাদের সেনার কাজে চলে যেতে হয়েছে। তবে তাঁরা এখনও নিরাপদেই আছেন। গবেষণারও কাজ চলছে।
হিন্দমোটরে রয়েছেন দীপনের মা তন্দ্রা চৌধুরী। ছেলের সঙ্গে কথা হচ্ছে রোজই। ছেলে নিরাপদে আছে জেনে নিশ্চিত তিনি। ইজরায়েলে যাওয়ার আগে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তারপর চেন্নাইয়ে পিএইচডি করেছে দীপন। সুইজারল্যান্ডেও গিয়েছিলেন। বাইরে বাইরে অনেকটা সময় কেটেছে তাঁর। আর ইজরায়েল যাওয়ার আগে বলেছিল ওখানে মাঝেমধ্যে যুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি সামলে নেবেন।
গবেষণা করতে গিয়ে বিপাকে কোলাঘাটের গবেষকও। প্রতি মুহূর্তে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে গবেষক নীলাদ্রি রায় চৌধুরীর পরিবারের। উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ায় বাড়ি হলেও হলেও দীর্ঘদিন কোলাঘাটে বসবাস করেন কোলাঘাট কে.টি. পি.পি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস রায়চৌধুরী। তাঁর একমাত্র ছেলে নীলাদ্রি রায় চৌধুরী। ভেটিনারি সায়েন্স নিয়ে পড়ার পর ইজরায়েল বারইলান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ পান।
গত বছর ১ মার্চ ইজরায়েলের হাইফা শহরে পৌঁছন। সেখানে এক বছর সাত মাস ধরে ক্যান্সারে রিসার্চ নিয়ে গবেষণা করছেন নীলাদ্রি। চরম উদ্বেগে নীলাদ্রির পরিবারও।