Bhupatinagar Blast: ভূপতিনগর বিস্ফোরণের মোড় ঘোরাতে পারে কন্টেনারের টুকরো! রক্ত লাগা মাদুর সংগ্রহ করল ফরেনসিক টিম

Bhupatinagar Blast: মঙ্গলবার দুপুর ২ টো থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ স্থল পরিদর্শন করেন তিন সদস্যের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল।

Bhupatinagar Blast: ভূপতিনগর বিস্ফোরণের মোড় ঘোরাতে পারে কন্টেনারের টুকরো! রক্ত লাগা মাদুর সংগ্রহ করল ফরেনসিক টিম
ভূপতিনগর বিস্ফোরণ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 6:43 PM

ভূপতিনগর: শনিবার কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রবল বিস্ফোরণ। বাজির কারখানা? নাকি চলছিল বোমা বাঁধার কাজ? নাকি বাইরে থেকে বোমা ফেলে যায় কেউ? ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ঘটনায় সামনে আসছে একের পর এক তথ্য। ঘটনার প্রায় ৮৮ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক টিম। আর এরপরই সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। এবার মৃত রাজকুমার মান্নার বাড়ির সামনে একটি গর্ত থেকে মিলল কন্টেনারের অংশ। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যে বিস্ফোরক ওই কন্টেনারে ছিল, তার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন।

মঙ্গলবার দুপুর ২ টো থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ স্থল পরিদর্শন করেন তিন সদস্যের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল।

কী কী নমুনা সংগ্রহ করলেন তাঁরা?

১. এদিন প্রথমে তারা রাজকুমার মান্নার বাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখেন এবং শেষের প্রায় এক ঘন্টা তাঁদের মূল নজর ছিল রাজকুমার মান্নার ঘরের সামনের বারান্দায় সিমেন্টের মেঝের মধ্যে থাকা দুটো গর্তে। গর্ত মাপজোক করে পুলিশের সঙ্গে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা কথা বলেন এদিন।

২. এই গর্ত কোদাল দিয়ে খুঁড়ে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞরা। যে গর্তটির পিছনে দেয়াল ভেঙে পড়েছে সেই গর্তের ঠিক পাশেই আরও একটি গর্ত রয়েছে। সেই দুটো গর্তের মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, সেটা মেপে দেখেন বিশেষজ্ঞরা।

৩. ওই গর্তের চারপাশে ঝাঁটা দিয়ে ঝেড়ে ধুলোগুলো নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে নিয়ে যান বিশেষজ্ঞরা। পুলিশ সূত্র এবং ফরেনসিক সূত্রে জানা যাচ্ছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ওই গর্তটিকেই বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থল বলে মনে করছেন। সেই কারণেই ওই গর্তের চারপাশের ধুলো সংগ্রহ করেছেন যাতে পরবর্তীতে কেমিক্যাল অ্যানালিসিস করে বোঝা যায় ওই গর্তে কী ধরনের বিস্ফোরক ছিল।

৪. ওই গর্ত থেকে বেশ কয়েকটি ধাতব টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ করছেন মেটাল কন্টেনার অর্থাৎ কোনও ধাতব পাত্রে রাখা ছিল বিস্ফোরক, সেটা অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি হতে পারে বা কোনও টিফিন বক্স।

৫. রাজকুমার মান্নার উঠোনের বাইরে যে জায়গায় বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া জিনিসপত্র, পাখার ব্লেডের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, গর্ত থেকে তার দূরত্ব মাপেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। প্রায় ১২০ ফুট পর্যন্ত বিস্ফোরণের অভিঘাতের চিহ্ন মিলেছে।

৬. ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন জামা কাপড়ের টুকরো সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ির উঠোনের বাইরে পড়ে থাকা একটা ছেঁড়া মাদুরের টুকরো সংগ্রহ করেন। সেই মাদুরে রক্তের দাগ লেগেছিল। সেই অংশটিও নমুনা হিসেবে নিয়ে যান তাঁরা।

এই নমুনা পরীক্ষা করা হলে অনেকটাই স্পষ্ট হবে, বিস্ফোরণটা বাড়ির মধ্যেই থেকেই হয়েছিল, নাকি বাইরে থেকে। প্রায় তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনও থমথমে পরিস্থিতি ভূপতিনগরে।