Water Pump: রাজনৈতিক টানাপোড়েনে জল পাবেন না সাধারণ গ্রামবাসী? পাম্পের কাজ বন্ধে উঠছে প্রশ্ন

সাবমার্সিবল পাম্প না বসায় সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকায় বসবাসকারী ২০ থেকে ২৫ টি পরিবারের প্রায় শতাধিক বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন রাস্তা এবং জলের সমস্যায় ভুগছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত থেকে এ বছর টেন্ডার করে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করা হলেও রাজনৈতিক টানাপোড়েনে তা আটকে গিয়েছে।

Water Pump: রাজনৈতিক টানাপোড়েনে জল পাবেন না সাধারণ গ্রামবাসী? পাম্পের কাজ বন্ধে উঠছে প্রশ্ন
পাম্প বসানোর কাজ বন্ধImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2024 | 1:26 PM

নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের আমদাবাদ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৫৮ নম্বর বুথে সাবমার্সিবল বসানোর জন্য পঞ্চায়েত থেকে টেন্ডার করা হয়। টেন্ডার অনুযায়ী ঠিকাদার ওই বুথে সাবমার্সিবল বসানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত হয় গত দুদিন আগে। বিজেপি কর্মীরা সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর কাজ বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, যেখানে পাম্প বাসনোর জন্য পঞ্চায়েত থেকে টেন্ডার করা হয়েছিল, সেখানে সাবমার্সিবল বসানো হচ্ছে না। এ নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দল।

সাবমার্সিবল পাম্প না বসায় সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকায় বসবাসকারী ২০ থেকে ২৫ টি পরিবারের প্রায় শতাধিক বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন রাস্তা এবং জলের সমস্যায় ভুগছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত থেকে এ বছর টেন্ডার করে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করা হলেও রাজনৈতিক টানাপোড়েনে তা আটকে গিয়েছে। এখন এলাকাবাসীর প্রশ্ন, রাজনৈতিক কারণে তারা কেন সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন? এলাকায় জলের সমস্যা কবে মিটবে তা নিয়েও শঙ্কায় গ্রামবাসীরা।

সাবমার্সিবলের কাজ বন্ধের প্রসঙ্গে বিজেপির নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের মণ্ডল সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার পাল বলেন, “আমরা চাইছি যে জায়গায় টেন্ডার হয়েছে সেখানে সাবমার্সিবল পাম্প বসুক। তা অন্য জায়গায় বসানো যাবে না। আমরা উন্নয়নের পক্ষে, কিন্তু দুর্নীতির নয়।”

ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম ২ ব্লক কমিটির সদস্য প্রভাস ভূঁইয়া বলেন, “বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে এই ধরনের কাজ করছে। ওই সাবমার্সিবল বসানোর জায়গার দাগ নম্বরে ভুল ছিল। ৮৩৩১ নম্বর এর জায়গায় ৮২৩১ নম্বর হয়ে যায়। দাগ নম্বর সংশোধন করার জন্য,ওই এলাকার মানুষজন গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং বিডিও অফিসে মাস পিটিশন করেছেন। প্রধান এবং বিডিওর তত্ত্বাবধানে তা সংশোধন করা হয় হয়েছে।” আমদাবাদ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুতপা রানা মান্না বলেন “রাজনৈতিকভাবে কিছু মানুষ ওখানে কাজ বন্ধ করেছে। টাইপিং এর জায়গার দাগ নম্বর ভুল ছিল। দাগ নম্বর সংশোধন করে তারপরে টেন্ডার ডাকা হয়েছে।” এই সব রাজনৈতিক টানাপোড়েন কাটিয়ে কবে জল আসে, সে দিকেই এখন তাকিয়ে এলাকাবাসী।