‘আটকাতেই হবে…’ ‘দুয়ারে সরকারে’ ক্যাম্প করে নয়া চাল বিজেপি নেত্রীর

Duare Sarkar: বিজেপি নেত্রীর যুক্তি, 'সরকার সবার, তাই সরকারি প্রকল্পের সাহায্যের জন্য সবাই আসতে পারেন, তাই আমি সাধারন মানুষের সাহায্যের জন্য ক্যাম্প করে বসেছি।'

'আটকাতেই হবে...' 'দুয়ারে সরকারে' ক্যাম্প করে নয়া চাল বিজেপি নেত্রীর
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2021 | 7:38 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) প্রকল্প। তা নিয়ে কটাক্ষও ছুড়েছে বিজেপি (BJP)। তবে এবার যেন উলটপুরাণ। উপকূলের জেলায় রাজ্য সরকারি কর্মসূচি সফল করার জন্য ক্যাম্প করে বসেছেন বিজেপি নেত্রী! এমনই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যদিও বিজেপি নেত্রীর প্রতিক্রিয়া, দুর্নীতি আটকাতেই তাঁর এহেন উদ্যোগ। কীভাবে?

একদিকে বিরোধীরা কাটাছেঁড়া করছে সরকারি প্রকল্পের। অপরদিকে তাতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরি। যদিও সবই জনগণের জন্য বলে সাফাই দিলেন বিজেপি নেত্রী জয়া নায়েক। জনগণের দুয়ারে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চলছে দুয়ারে সরকারের শিবির। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য চলছে শিবিরে শিবিরে ভিড়। এই প্রেক্ষিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পুরসভার ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবেদনপত্র জমা নেওয়া চলছে ঐতিহ্যবাহী তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলে। সেখানেই সরকারি প্রকল্পকে সাহায্য করার জন্য ক্যাম্প করেছেন বিজেপি নেত্রী।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন তমলুক পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়া দাস নায়েক। এদিন তাঁকে দেখা গেল দুয়ারে সরকার কর্মসূচির আবেদন পত্র পূরণ করার জন্য ক্যাম্প করে বসেছেন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যেসব সাধারণ মানুষ দুয়ারের সরকার-এর বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য যাঁরা আবেদন করতে এসেছেন তাঁদের সাহায্য করছেন তিনি। বলছেন, যেখানে শিবিরের সামনে ৪০-৫০ টাকা নিয়ে ফর্ম পূরণের অভিযোগ উঠে আসছে, সেখানে তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা যাতে নিশ্চিন্তে এবং ঠিকঠাক ভাবে পরিষেবা পাান তাই ক্যাম্প করেছেন তিনি।

বিজেপি নেত্রীর কথায়, “মূলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কাজ করছি। তাছাড়া স্বাস্থ্যসাথী, রেশন কার্ড ডিজিটালাইজেশন, সংশোধন সমস্তটাই করছি। আশা করি সাধারণ মানুষ এসব প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। আর সরকারটা তো সবার। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়াটাই মুখ্য উদ্দেশ্য সবার। তাই আমার ওয়ার্ডে যাতে সবাই পরিষেবা পান, উপকৃত হন সেই চেষ্টাই করছি। কোথাও শুনছি ৪০-৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সেসব এখানে যাতে আটকানো যায় সে চেষ্টাও করছি। তাই এই ক্যাম্প।”

বিজেপি নেত্রীর যুক্তি, ‘সরকার সবার, তাই সরকারি প্রকল্পের সাহায্যের জন্য সবাই আসতে পারেন, তাই আমি সাধারণ মানুষের সাহায্যের জন্য ক্যাম্প করে বসেছি।’ এদিকে সরকারি প্রকল্প সফল করার জন্য এগিয়ে আসার জন্য জয়া দাস নায়েককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল কুমার খাড়া। তবে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছেন, বাইরে সমালোচনা করলেও অন্তর থেকে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি ও প্রকল্প আসলেই জনমুখী তা মেনে নিয়েছে বিজেপি। তাই তাঁকে ধন্যবাদ।

এর আগে অবশ্য এরকমই ছবি দেখা গিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরে। শহরের কর্নেলগোলায় নারায়ণ বিদ্যাভবন বালিকা বিভাগে দুয়ারে সরকারের শিবিরে মানুষের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে কারণে সিপিএমের শাখা অফিসের বাইরে ক্যাম্প করেছ সিপিএম। আর তাতে সাধারণ মানুষ এসে সুযোগও নিচ্ছেন। কোনও টাকা পয়সা নেওয়ার ব্যাপার নেই। সাধারণ মানুষের স্বার্থে ফর্ম পূরণ-সহ বিভিন্ন কাজ করে দেন সিপিএম কর্মী, সমর্থকরা। তারাও যুক্তি দেয়, সরকারি প্রকল্প সবার কাছে যাতে পৌঁছয় তাতে যে কেউ সাহায্য করতে পারে। আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’, সাহায্যে কাস্তে-হাতুড়ি! মানুষের সুবিধায় তৃণমূলের শিবিরের বাইরে হেল্প ডেস্ক খুলল সিপিএম