Suvendu Adhikari: তৃণমূলের চেয়ে নাস্তিক সিপিএম ভাল ছিল, উৎসবে বিধানসভা চালায়নি: শুভেন্দু

Suvendu Adhikari in Nandigram: "রাজ্যের এই শাসক দলের থেকে সিপিএম (CPIM) অনেক ভাল। তারা ধর্মে বিশ্বাস করত না। নাস্তিক বলত। ধর্মকে আফিম বলত বটে, কিন্তু উৎসবের সময় কখনও বিধানসভা চালায়নি।''

Suvendu Adhikari: তৃণমূলের চেয়ে নাস্তিক সিপিএম ভাল ছিল, উৎসবে বিধানসভা চালায়নি: শুভেন্দু
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2021 | 9:50 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূল (TMC) ছাড়ার পর একাধিকবার সিপিএমের (CPIM) সঙ্গে তাঁর পুরনো দলকে তুলনা করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এগিয়ে রেখেছেন বামেদের। এমনকী ভোট প্রচারে গিয়ে এও বলেছেন বামেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে একুশের ভোটবাক্সে ভোটটা দিতে হবে বিজেপিকে। সেই শুভেন্দু অধিকারী এদিন ফের তুলনা টানলেন তৃণমূল ও সিপিএমের। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোষণের অভিযোগ করে মন্তব্য করলেন, এর চেয়ে নাস্তিক সিপিএম ভাল ছিল। তারা উৎসবের মরসুমে বিধানসভা চালায়নি।

সোমবার নন্দীগ্রামের তেখালীতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিছিল করেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চ এবং বিজেপি-র কর্মী ও সমর্থকরা। তার নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখান থেকে তাঁর মন্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে যে তোষণবাজ সরকার রয়েছে, তারা উৎসবের সময় বিধানসভা (অধিবেশন) ডেকেছে।”

তার পর শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের এই শাসক দলের থেকে সিপিএম (CPIM) অনেক ভাল। তারা ধর্মে বিশ্বাস করত না। নাস্তিক বলত। ধর্মকে আফিম বলত বটে, কিন্তু উৎসবের সময় কখনও বিধানসভা চালায়নি।” তার পর তিনি ফের তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “বিভিন্ন ভাবে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করছে। ২০০৭ সালে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাকে আটকাতে পারেনি। এখন আর আটকাবে কীভাবে! আমরা স্থির করেছি, বাংলার উৎসব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিধান সভায় যোগ দেব না। কালীপুজোর দিন নন্দীগ্রামে আসব। সর্বত্র ধ্বজা তুলেই তবে রাজনীতি থেকে অবসর নেব”।

শুভেন্দু যোগ করেন, ‘সনাতনীদের রক্ষা করার তাগিদ পথে নেমেছি স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা ধ্বজা নিয়ে।’  মহেশপুরে নামযজ্ঞ মঞ্চে ‘সনাতনী’দের তাঁর বার্তা, “আমাদের নিজেদের কেই রাস্তায় নেমে হিন্দুদের রক্ষা করতে হবে তার জন্য এক হওয়া প্রয়োজন।” তিনি বাংলাদেশের ঘটনার রেশ টেনে বলেন, যারা ওই দেশে এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা এখানকার ‘জাহাজ বাড়ির’ আত্মীয় হন। তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ানকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, যারা নন্দীগ্রামের চিল্লা গ্রামে দেবব্রত মাইটিকে খুন করেছে তাদের মধ্যে অনেকেই এখন জেলের ভিতরে ঢুকেছে। বাকি রয়েছে বেশ কয়েকজন। তারাও ঢুকবে। নন্দীগ্রামে যাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে তাদের বাড়িতে সিসিটিভি বসাব। তাতে ধরা পড়বে ওই দুষ্কৃতীরা। নন্দীগ্রামের প্রতিটি মন্দিরে মাইকের ব্যবস্থা করা হবে যাতে সব মন্দিরে সকাল সন্ধ্যায় হরিনাম, আরতির গুঞ্জন শুনতে পাওয়া যায়।

এদিনের মিছিলে শুভেন্দু ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা প্রলয় পাল এবং স্থানীয় বিজেপি ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতারা। জাগরণ মঞ্চের এই পদযাত্রা ও নামযজ্ঞের ঘিরে কড়া পুলিশি ব্যবস্থার আয়োজন ছিল নন্দীগ্রামের মহেশপুরে।

শুভেন্দুর সিপিএম ও তৃণমূলের এই তুলনা টানা প্রসঙ্গে স্থানীয় এক ঘাসফুল নেতার কটাক্ষ, ‘সুজনবাবু কিছুদিন আগে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ওঁনাকে (শুভেন্দু অধিকরী)। তাই সিপিএমকে এখন বেশি ভাল বলছেন।’

আরও পড়ুন: Rajib Banerjee: ঘর ওয়াপসির পরই ত্রিপুরায় বড় দায়িত্ব রাজীবের