Egra Blast: ‘পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বোমা বাঁধা হচ্ছিল, না গেলে মাকে ভয় দেখাত’
Egra Blast: এগরা বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের। মৃতদের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রকেট বাজি টেস্ট করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে দাবি করেছে পুলিশ।
এগরা: কোথাও পড়ে রয়েছে পা, কোথাও হাত, কোথাও আবার অন্য়ান্য দেহাংশ। এগারার ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Egra Blast) ছবি দেখে কেঁপে উঠেছিল গোটা রাজ্য। চলছে রাজনৈতিক তরজা। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন জয়ন্ত জানা নামে এলাকার এক যুবক। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁরা জানতেন ভানু বাগের কারখানায় বোমা বাঁধতেন জয়ন্ত। দৈনিক তিনশো-সাড়ে তিনশো টাকা মজুরি পেতেন। ওই কারখানায় যে বোমা বাঁধা হতো তা জানাচ্ছেন আর এক মৃতার ছেলেও। অষ্টম শ্রেণির সেই পড়ুয়া সাফ জানাচ্ছে, “ওখানে বড় বড় বোমা বাঁধা হত। মা যেতে না চাইলে ভয় দেখানো হতো বোমা দিয়ে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার। পঞ্চায়েত ভোট আসছে, তাই তৃণমূলের জন্যই বোমা (Bomb Blast) বাঁধা হচ্ছিল বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্য। মা বাড়ি এসে এসব বলেছিল।”
ঠিক কী হয়েছিল বুধবার? ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ওই খুদে পড়ুয়া বলছে, “মা ওখানে রোজই কাজে যেত। কালও গিয়ছিল। আমি দুপুরে মাকে ডাকতে যাই। ফিরে আসার খানিক্ষণের মধ্যে বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। তখন দুপুর সাড়ে ১২টা হবে। মা ওখানে অনেকদিন ধরে কাজ করত। মাসে ৬ হাজার টাকা মতো মাইনে পেত। মায়েরা যে বোমা তৈরি করতো সেগুলি বাইরে চলে যেত। এখন মূলত ভোটের জন্যই ভানু বাগ বোমা তৈরি করত। ভানু তো এলাকায় রীতিমতো মাতব্বর ছিল।”
প্রসঙ্গত, এগরা বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের। মৃতদের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রকেট বাজি টেস্ট করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে দাবি করেছে পুলিশ। বেআইনি বাজি কারখানার পাশে ফাঁকা ধান মাঠে রকেট বাজি টেস্ট করা হচ্ছিল। তখনই হঠাৎ হাওয়ার ধাক্কায় রকেট অভিমুখ পরিবর্তন করে কারখানার দিকেই চলে আসে। তাতেই লেগে যায় আগুন। ফাটতে শুরু করে অন্যান্য আতসবাজি। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় দেবসুন্দর জানা ও তপন দেবনাথ নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সপরিবারে ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছে বলে খবর। তাঁর নামেও দায়ের হয়েছে এফআইআর। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি।