Cyclone Jawad: জাওয়াদে সতর্ক প্রশাসন, দড়ির বাঁধনে আটকে পর্যটকরা
West Bengal Rains: নজরদারি চালাচ্ছে এনডিআরঅফ-এর দু'টি দল।
দিঘা: আর ঘূর্ণিঝড় নয়, শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে জাওয়াদ (Jawad)। তবুও সতর্ক প্রশাসন। ইতিমধ্যে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দিঘাতে(Digha)। সেই কারণে দুর্যোগের আশঙ্কায় বাড়তি নজরদারি জেলা প্রশাসনের। শুধু তাই নয়, সমুদ্র সৈকতগুলিতেও চলছে নজরদারি। তবে বষ্টি ও জলোচ্ছাস উপভোগে দড়ির বাঁধনেই আটকে পর্যটকরা।
দিঘায় রবিবার সকাল শুরুই হল বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা এবং দমকা হাওয়া দিয়ে। হাওয়া অফিস আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দিঘায় সেই কারণে প্রকৃতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসনও। পাশাপাশি কাজে কোনও ফাঁক ফোকড় রাখতে নারাজ পুলিশও।
জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাঝি গত তিনদিন দিঘায় উপস্থিত থেকে সমগ্র পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে দিঘা,শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ সহ বেশ কিছু ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম (Control Room)। সমুদ্র তট ও অপেক্ষাকৃত নীচু তলায় বসবাসকারী মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।
রামনগরের (Ramnagar) একটি ব্লকে পঞ্চাশটির বেশি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। মজুত করা হয়েছে শুকনো খাবার,চাল সহ ত্রিপল। তাজপুর,শংকরপুর,দিঘা,নিউ দিঘায় নজরদারি রয়েছে।
রামনগর দুই ব্লক ও কাঁথি ১ব্লকের দিকে সিলামপুর মৌজা বিশেষ নজর রয়েছে। পাশাপাশি তৈরি রাখা হয়েছে আয়লা সেন্টারগুলিকেও। মন্দারমণি (Mandarmani),কালিন্দি(Kalindi), দাদনপাত্র বাড়, এই সব এলাকাও নজরের রয়েছে। নজরদারি চালাচ্ছে এনডিআরঅফ-এর দু’টি দল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি দিঘায় অপরটি কাঁথিতে নজরদারি চালাচ্ছে। সঙ্গে সিভিল ডিফেন্স ও জেলা পুলিশের নজরদারিও রয়েছে।
পরিস্থিতি প্রতিকূল, তাই ল্যান্ডফল হচ্ছে না। জাওয়াদের শক্তি সমুদ্রেই ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার পর্যন্ত দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবারও রাজ্যের নয় জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। রবিবার কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবারও কমবে না বৃষ্টির দাপট। সোমবার ৪ জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জাওয়াদের শক্তিক্ষয়ে কিছুটা কম ঝড়ের দাপট।
বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সেচ, বিদ্যুৎ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। কন্ট্রোলরুম সংক্রান্ত খোঁজখবর নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মূলত পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ওপরে বিশেষ নজর রয়েছে নবান্নের।
আরও পড়ুন: স্কুলের শিক্ষকের কাছে মার, বাড়ি এসে আত্মাঘাতী অষ্টম শ্রেণির ছাত্র