Doctors Harassment: ভগবানপুরে ধুন্ধুমার, চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল
Egra: এগরা বাজকুল রাস্তায় বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন এক ব্যক্তি। তাঁর চিকিৎসা কেন হবে না তাই নিয়ে তীব্র বচসায় উত্তেজনা ছড়ায় ভগবানপুরে। জানা যাচ্ছে, বৃষ্টির কারণে রাস্তা ঘাটের খারাপ অবস্থা। আর এই অবস্থায় এক ব্যক্তি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ভগবানপুর: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে অনড় তাঁরা। এই পাঁচদফার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়। রাজ্য সরকারের কাছে জুনিয়র চিকিৎসকদের স্পষ্ট দাবি, তাঁদের নিরাপত্তা দিতে হবে। গোটা রাজ্য যখন দেখছে চিকিৎসকদের আন্দোলন, সেই সময়ই পূর্ব মেদিনীপুরে উঠল সেই চিকিৎসককেই মারধরের অভিযোগ।
ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক্সরে মেশিন খারাপ কেন? সেই প্রশ্ন তুলে সরব রোগীর পরিবারের লোকজন। পথ দুর্ঘটনায় আহত ‘মদ্যপ’ রোগীকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা পরিষেবা ঠিক মতো না পাওয়ায় সরব রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, এক্স-রে মেশিন খারাপ কেন? সেই সদুত্তর না পাওয়ায় চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করলেন তাঁরা। এখানেই প্রশ্ন, এক্স-রে মেশিন খারাপ সেই বিষয়টি দেখার দায়িত্বে থাকেন না চিকিৎসকরা। বিরোধীদের দাবি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশার জন্যই মার খেতে হল ওই চিকিৎসককে।
কী ঘটেছে?
এগরা বাজকুল রাস্তায় বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন এক ব্যক্তি। তাঁর চিকিৎসা কেন হবে না তাই নিয়ে তীব্র বচসায় উত্তেজনা ছড়ায় ভগবানপুরে। জানা যাচ্ছে, বৃষ্টির কারণে রাস্তা ঘাটের খারাপ অবস্থা। আর এই অবস্থায় এক ব্যক্তি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আহত বাইক আরোহীকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা ভগবানপুর ব্লকের কাজলাগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে চিকিৎসকরা দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর বলেন আহতের কাঁধের হাড় ভেঙেছে। তাই তাদের এই রোগীকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে হবে। কারণ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক্সরে মেশিন খারাপ। আর ঠিক তার পরই উত্তেজনা তৈরি হয় । কেন এই হাসপাতালে নেই এক্স-রে ব্যবস্থা?
সরকারি হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর করে বলেই অভিযোগ। কার্যত চিকিৎসককে কিল চড় ঘুষি মারার ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড বেধে যায়। অভিযোগ যে হাসপাতালে এক্সরে মেশিন খারাপ কেন ? প্রশ্ন তোলেন তারা। তাই নিয়ে বচসা শুরু পরে হাতাহাতি হয় বলে জানা যাচ্ছে।
কাজলা গড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ভগবানপুরের চিকিৎসক মিন্টু দে বলেন, “সিস্টার ফোন করে বলে একটা অ্যাক্সিডেন্ট কেস এসেছে। মদ খাওয়া অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। আমরা তাঁকে ভর্তি করে ব্যথার ইঞ্জেকশন দিতে বলি। তারপর দেখি ওই ব্যক্তির কলার বোন ভেঙে গিয়েছে। তখন আমরা ওদের বলি এখানে এর ট্রিটমেন্ট নেই। উচ্চ-হাসপাতালে যেতে হবে। তারপরই আমাদের উপর চড়াও হয়। বলে হাসপাতাল রেখে কী হবে? ভেঙে দিই।” ভগবানপুর চিকিৎসককে মারধর করার ঘটনায় রাজ্য জয়েন মেডিকেল ফোরামের পক্ষ থেকে ভগবানপুর থানায় ডেপুটেশন দিলেন। দাবি হাসপাতালে নিরাপত্তা এবং দোষীদের শাস্তি।