Tajpur port: আদানির শেয়ার পতনের প্রভাব পড়বে না হলদিয়া বন্দরের উপরে, আশ্বাস ডেপুটি চেয়ারম্যানের

Tajpur port: এমনকী আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম হুড়মুড়িয়ে পড়েছে। এর জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে আদানি গোষ্ঠী। এই প্রেক্ষিতে বাংলায় আদানি গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

Tajpur port: আদানির শেয়ার পতনের প্রভাব পড়বে না হলদিয়া বন্দরের উপরে, আশ্বাস ডেপুটি চেয়ারম্যানের
অমল কুমার মেহেরা, ডেপুটি চেয়ারম্যানের (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 8:23 AM

হলদিয়া: আদানি গোষ্ঠীর (Adani) বর্তমান পরিস্থিতির কোনও প্রভাব পড়বে না হলদিয়া বন্দরের উপর। বুধবার হলদিয়া বন্দরে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার সমন্বয় ও ব্যায় সঙ্কোচ শীর্ষক আলোচনা সভাতে যোগ দিতে এসে এমন মন্তব্য করেছেন হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা। সম্প্রতি, আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আমেরিকান শর্টসেলিং সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তারপর থেকেই আলোচনায় আদানি গোষ্ঠী। এমনকী আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম হুড়মুড়িয়ে পড়েছে। এর জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে আদানি গোষ্ঠী। এই প্রেক্ষিতে বাংলায় আদানি গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া বন্দরে আদানি গোষ্ঠীর বিনিয়োগ করার কথা। জানা গিয়েছে, হলদিয়া বন্দরে বিনিয়োগের জন্য নিয়ম মেনে প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করেছে আদানি গোষ্ঠী। পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য ওল্ড-২ বার্থ আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া হবে। এখন এই বিষয় চুড়ান্ত না হলেও আদানি গোষ্ঠী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ব্যাঙ্ক ঋণের জন্যে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছেন। আগামী মার্চের মধ্যে পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ হওয়ার কথা।

কিন্তু তার আগেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে হলদিয়া বন্দরের বিনিয়োগ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতেই এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আদানিদের নিয়ে কাগজে অনেক কিছু লেখা হচ্ছে।কিন্তু আমাদের কাছে তেমন কোনও খবর নেই ।প্রাথমিক চুক্তির পর ৬ মাসের সময় থাকে। মার্চ মাস পর্যন্ত সময় রয়েছে। ৩০০কোটি টাকার ছোট প্রোজেক্ট। আশাকরি কোনও অসুবিধে হবে না।’ নাব্যতা বৃদ্ধির কারণে হলদিয়া বন্দরে মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এদিন দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “আগে নাব্যতা কম থাকার কারণে গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ করতে হত। বর্তমানে বন্দরের নাব্যতা সারা বছর ধরে সাড়ে ৮ মিটারের বেশি থাকার কারণে পণ্য পরিবহণ কিছুটা সহজ হয়েছে। যার কারণে তেলের মজুত ৪০-৪১ মিলিয়ান টন থেকে বাড়িয়ে ৪৫—৪৮মিলিয়ান টন করতে পারব বলে আশা করছি।”

তিনি বলেন, ‘হলদিয়া বন্দর দিয়ে লৌহ আকরিক পরিবহণ বাড়লেও ট্রেনের রেক কম পাওয়ার কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’

এদিনের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের পক্ষে এস চক্রবর্তী, টাটা গোষ্ঠীর পক্ষে ডি সামন্ত, আদানি গোষ্ঠীর পক্ষে সুদীপ দাসগুপ্ত, রেলের পক্ষে অভিষেক সিংহল সহ বিশিষ্ট শিল্পপতি ও আধিকারিক বৃন্দরা ।