Mamata Banerjee: এপ্রিল থেকেই ৫০ দিনের কাজ, টাকা পাবেন ১০০ দিনের সমান! বড় ঘোষণা মমতার
Mamata Banerjee: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান টাকা দিল না কেন্দ্র। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরাই করবো ধীরে ধীরে। এত দিনে টাকা দাওনি। আর লাগবে না। আমাকে দেব বার বার বলেছে: মমতা
পূর্ব মেদিনীপুর: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পূর্ব মেদিনীপুরের সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন, সরকারি পরিষেবা প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখুন এক নজরে কী কী বললেন…
KEY HIGHLIGHTS
- হলদিয়া তে ১লক্ষ মানুষের কর্মস্থান হয়েছে। জেলায় ৩০টি কর্ম তীর্থ হয়েছে। দিঘার জগন্নাথ মন্দির পুরীর মন্দিরের মতো উচ্চতা।
- ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান টাকা দিল না কেন্দ্র। সৌমেন মহাপাত্র যখন ছিল, অনেক চেষ্টা করেছিল। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরাই করবো ধীরে ধীরে। এত দিনে টাকা দাওনি। আর লাগবে না। আমাকে দেব বার বার বলেছে। লজ্জা করে না, একটা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করতে পারো না। আমাকে দেব বারবার করে বলেছে। এটা হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সম্ভব হবে।
- দিঘা তমলুক সহ বহু রেল লাইন সব আমি করেছি। সব টাকা আমি থাকা কালীন দিয়েছি ২ লক্ষ কোটি।
- নন্দীগ্রাম মামলা এখনও বিচারাধীন। আড়াই বছর হল। কী হয়েছে সবাই জানে। চোরের মায়ের বড় গলা। সব থেকে বড় চোর হল কে?
- কোনো ছেলে মেয়ের চাকরি যেতে দেব না। আমি কারোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। গদ্দারবাবুরা সব থেকে বেশি খেয়েছে। সব থেকে বেশি পেয়েছে।
- আমরাই থাকবো এখানে, দিল্লির বাবুরা নয়।
- ভোট আসলে উজ্জ্বালা, ভোট আসলে বাড়ি বাড়ি টাকা টোপ। টাকার দাবিতে অভিষেক আন্দোলন করেছে দিল্লিতে। গ্রেফতার করেছে সাংসদ বিধায়ককে।
- আমরা থাকলেই সব পাবেন। প্রধানমন্ত্রী এসে ভুল বললেন।
- কিছু লোক নির্বাচনের সময় আসে। বিজ্ঞাপন দেয়। কিন্তু মানুষ মরে গেলেও তাঁদের পাত্তা পাওয়া যায় না। জমি কে কিনছে, রাজ্য, পাইপলাইন, মেইনটেন্যান্স রাজ্য দিচ্ছে। আরও ৪০ শতাংশ টাকা। আমরা দিই ৭০ শতাংশ। আর ৩০ শতাংশ দাও। সেটাও আমাদের এখান থেকে তুলে নিয়ে যাও। মাছের তেলে মাছ ভাজা।
- জলস্বপ্ন প্রকল্পে ১১ লক্ষ মানুষের বাড়িতে জল। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা, তিনটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে।
- এই জেলায় ১২ বছরে মাছের উৎপাদন ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। মাছ শুকনো চাতাল, বাজার অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। ৪২ হাজার পুকুর কাটা হয়েছে।
- দিঘায় পুরীর মন্দিরের সমান উচ্চতার মন্দির। আমাদের দিঘাতে অনেক পর্যটক আসে, দিঘায় মেরিন ড্রাইভ, কনভেনশন সেন্টার তৈরি হয়েছে। সেই উচ্চতা থাকবে দিঘার পুরীর মন্দিরে। ইতিমধ্যেই জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা এসে গিয়েছে। আমরা রেখে দিয়েছি। একদিন দেখবেন সারা পৃথিবীর লোক দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে আসবে।
- দিঘা তমলুক রেললাইন আমি করেছিলাম। বিজেপি বললেই হয় না। যত রেললাইন, এক লাখি বালুরঘাট, লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা, যত স্টেশন, মেট্রো স্টেশন সব দিয়ে গিয়েছি। আর ফিতে কেটে বলছে বিজেপি করেছে। কাগজপত্র ঘাঁটুন দেখলেই বুঝতে পারবেন।
- দিল্লির জোরে ক্ষমতা দেখিয়ে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করেছে। কালকেও ভিডিয়ো দেখেছি, খালি বলেছে, তৃণমূলকে পকড়াও। নির্বাচন আসবে, চলে যাবে। তারপর কিন্তু আমরাই এখানে থাকব। মনে রাখবেন গদ্দারবাবুরা, গদ্দারদের কমরেডরা, সব থেকে বেশি খেয়েছে, যখন পার্টিতে ছিল, সব থেকে বেশি নিয়েছে, আর যখন ধরা পড়বে বুঝলেন, তখন লঙ্কাকাণ্ড ঘটান। গরিব ছেলেমেয়েদের চাকরি খেয়ে, এখন সাধু সেজে বসে রয়েছে। সাধুর বেশে বসে রয়েছে।
- নির্বাচন আসলে ঘরে ঘরে পুলিশ পাঠায়, উজালা পাঠায়। তারপর গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা পাঠিয়ে দেয়।
- তিন বছর টাকা দেয়নি গরিব মানুষগুলোকে।
- আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে গেলেন, তিনি নাকি ৪৭ হাজার কোটি টাকা বাংলাকে দিয়েছেন, আর আমরা নাকি খেয়ে নিয়েছি, ঘরবাড়ি দিইনি। অঙ্কটা বলি, যদি কারোর কোনও সন্দেহ থাকে, চ্যালেঞ্জ করবেন। আমি সরকারের কথা বলছি, পার্টির কথা নয়। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ সালে মনে রাখবেন কিছু কিছু স্কিম আছে, এখান থেকে যে ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়, তার কিছু রাজ্যের অধিকার মতো দেয়। ১৪-১৫ থেকে ২১-২২ পর্যান্ত ২৯ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। গদ্দারদের বন্ধু যে সাংবাদিক বন্ধুরা রয়েছেন, তাঁরা ভাল করে লিখবেন। আপনারা তো আবার তাদের দোষ দেখতে পারেন না। এমনকি মহিলাঘটিত কেসও দেখতে পারেন না। আমি জানি সব। সব চুপচাপ রয়েছে। টাইমে বার করে দেব। কতক্ষণ চেপে রাখবেন, দেখব আমি।
- রাজ্য সরকার দিয়েছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। আমাদের থেকে মাত্র ৯ হাজার কোটি টাকা বেশি দিয়েছে। ওই যে ২৯ হাজার আর ২০ হাজার, বলছে বাড়ি হয়নি। ৪৩ লক্ষ বাড়ি হয়েছে। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। স্বীকার করুন মিথ্যা বলেছি।
- ১১ লক্ষ বাড়ি আমরা রাজ্যের তরফ থেকেই করে দেব। যাঁদের করব বলেও করা হয়নি। আমরা নিজেদের টাকা দিয়ে ১০ লক্ষের মতো বাড়ি করে দিয়েছি। রাস্তার টাকা দেয়নি।
- আজকে তুমি ইডি-সিবিআই পাঠাচ্ছো, আর যখন তুমি ক্ষমতায় থাকবে না, তখন মানুষ তোমাকে A টু Z পাঠাবে।
- যাঁর ভাই মারা গিয়েছিল, তাঁর বউ কেস করেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিচার পায়নি। আমি বলেছি. বিচার পাবে। ভগবান বলে কিছু থাকে, তাহলে বিচার পাবে।
- একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমরা কাজ দিচ্ছি, টাকা দিচ্ছে। একশো দিনের কাজের যে টাকা পেতেন, সেই টাকাই পাবেন। শুধু পরিকল্পনাটার নাম হচ্ছে কর্মশ্রী। এটা ৫০ দিনের জন্য কাজ হবে। জব কার্ড হোল্ডাররা কাজ পাবেন। এপ্রিল-মে থেকে কাজটা পাবেন।
- আমরা মে মাসের প্রথম থেকে চার পার্সেন্ট ডিএ-ও বাড়াচ্ছি। আমরা চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য তিন হাজার, সাড়ে তিন হাজার টাকা বাড়ানো হল।
- একসময়ে ICDS এর নব্বই শতাংশ টাকা আসত। এখন কমিয়ে দিয়েছে। এখন আমাদেরই বেশিরভাগ টাকা দিতে হয়। আশাকর্মীদের টাকা দেয় না। আমরা দিই।
- ডানকুনি টু হলদিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার হচ্ছে।