Suicide Case: স্বামীর দোকান থেকেই শুরু পরকীয়া, প্রেমিককে ভিডিয়ো কল করেই নিজেকে শেষ করে দিলেন প্রেমিকা

Suicide Case: সোনার দোকানে আসতেন অনিমেষ। সেখানেই সোমার সঙ্গে আাপ হয় তাঁর। পারিবারিক অশান্তির পর পরকীয়ায় আবদ্ধ ছিলেন সোমা।

Suicide Case: স্বামীর দোকান থেকেই শুরু পরকীয়া, প্রেমিককে ভিডিয়ো কল করেই নিজেকে শেষ করে দিলেন প্রেমিকা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2022 | 8:45 AM

ভগবানপুর : পরিবারে রয়েছেন স্বামী, রয়েছে সন্তান। কিন্তু একটু একটু করে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু সেই সম্পর্কেও অশান্তি! সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বৈবাহিক সম্পর্কই টিকিয়ে রেখেছিলেন। তবে প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্য আর হয় সহ্য করতে পারেননি তিনি। তাই মৃত্যুর পথই বেছে নিয়েছেন বিবাহিত প্রেমিকা। পূর্ব মেদিনীপুরের এই ঘটনায় প্রাম মাস খানেক পর গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিককে। আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রেমিককে ভিডিয়ো কল করেই আত্মঘাতী হন ওই মহিলা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার গুড়গ্রাম এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম অনিমেষ গুছাইত। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। পরে শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁর জামিন নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনার তদন্তর করছে ভগবানপুর থানার পুলিশ। পরকীয়া সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছে দুই পরিবারই।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ঝন্টু পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সোমা বেরা নামে এক মহিলার। আট বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। এক সন্তানও রয়েছে অনিমেষ ও সোমার। দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। ভগবানপুর গুড়গ্রাম এলাকায় একটি সোনার দোকান রয়েছে তাঁর। সেখানেই একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করে ঝন্টু ও সোমা। ওই দোকানে যাওয়া আসা করতেন অনিমেষ গুছাইত। সেখানেই সোমার সঙ্গে তাঁর আলাপ। ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা বাড়ে উভয়ের মধ্যে। দুজনকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত বলে সূত্রের খবর।

পরকীয়ার কথা জানাজানির পর দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। সালিশি সভাও বসেছিল। তারপরও পরকীয়া সম্পর্ক অটুট ছিল। কিছুদিন আগে প্রেমিকের সঙ্গেও অশান্তি শুরু হয়। এরপর গত ১২ জুলাই অনিমেষ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভিডিয়ো কল করেন সোমা। প্রেমিক যখন ফোনের ওপারে, তখনই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ।

পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মৃতার স্বামী ঝন্টু পাত্র ভগবানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকেই অনিমেষকে খুঁজছিল পুলিশ। এবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।