Egra Blast: ‘ও মরেছে ভালই হয়েছে’, ভানুর মৃত্যুতে ‘খুশি’ প্রতিবেশীরা
Egra Blast: ভানুর খোঁজে বালেশ্বরেও ছুটেছিল পুলিশ। সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তবে তাঁকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে পারল না পুলিশ। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ভানুর। বিস্ফোরণের সময় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি নিজেও।
এগরা: খোঁজ করছিল পুলিশ। মাঠে নেমেছিল সিআইডি (CID)। কিন্তু, কিছুতেই খোঁজ মিলছিল না এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের (Bhanu Bagh)। স্থানীয় সূত্রে খবর মিলেছিল ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছেন ভানু। ভানুর খোঁজে বালেশ্বরেও ছুটেছিল পুলিশ। কিন্তু, সেখান থেকে জীবিত অবস্থায় রাজ্যে আনা যায়নি ভানুকে। বিস্ফোরণের (Egra Blast Case) সময় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি নিজেও। ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল দেহ। ভর্তি ছিলেন কটকের হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন গ্রামবাসীরা। এলকার এক বাসিন্দা তো বলেই ফেললেন, ভানু মরেছে ভালই হয়েছে।
ভানুর মৃত্যু প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে খাদিকুলের ওই বাসিন্দা বলেন, “উনি মারা গিয়েছেন খুবই ভাল হয়েছে। গ্রামের মঙ্গল হয়েছে। ওঁর পরিবারের যাঁরা আছেন তাঁরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পান।” এগরা বিস্ফোরণের পর শুরুতে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছিল, মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। প্রত্যেকেই বাজি তৈরির কাজ করতেন। প্রাণ গিয়েছে এলাকার এক মহিলার। ভানু বাগের মৃত্যুতে খানিক স্বস্তিতে গ্রামবাসীরা। তবে সাজা না পেয়ে ভানুর মৃত্যু হওয়ায় খানিক আক্ষেপও করছেন এক মেয়ে। তিনি বলছেন, “সাজা না পেয়েই তো ও চলে গেল। ওর ছেলেকে ধরেছে। কিন্তু, ওদের তো অনেক টাকা আছে। ওরা বেরিয়ে চলে আসতে পারে। আবার এ ধরনের কাজ করতে পারে। তখন আবার কিছু পরিবার আমাদের মতো নিঃস্ব হয়ে যাবে। আবার কিছু ছেলেমেয়ে মা-বাবাকে হারাবে।”
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এগরাকাণ্ডে বিস্ফোরক আইনে দায়ের হয়েছে মামলা। তদন্ত করছে সিআইডি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের পরেই দায়ের হয়েছে এই মামলা। খুন এবং খুনের চেষ্টার ধারাও যুক্ত হয়েছে। ভানু সহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা।