Electrocution: নিজেই সরাতে গিয়েছিলেন ছিঁড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তার! প্রৌঢ়ের বাড়িতে এখন কান্নার রোল
Tragic Death: নিরোদ ঘোড়াই নামে বছর আটান্নর ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি হলদিয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তাঁর বাড়ির সামনে একটি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে ছিল। সেই তার সরাতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের।
হলদিয়া: ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধাক্কায় রবিবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় প্রবল বৃষ্টি। সঙ্গে দমকা হাওয়া। বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। এসবের মধ্যেই এক মর্মান্তিক ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। নিরোদ ঘোড়াই নামে বছর আটান্নর ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি হলদিয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তাঁর বাড়ির সামনে একটি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে ছিল। সেই তার সরাতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের।
এদিন সকাল থেকে শিল্পতালুক হলদিয়ায় আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। ঘূর্ণিঝড় রেমালের বেশ ভাল প্রভাব দেখা গিয়েছে হলদিয়াতেও। গতরাতের ঝড়ে শিল্প শহরের বিভিন্ন জায়গায় বহু গাছপালা পড়ে নষ্ট হয়েছে। যদিও পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা টিম সর্বক্ষণ প্রস্তুত ছিল। কোথাও গাছপালা ভেঙে পড়ার খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছিল পুরসভা বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। রাস্তার উপর থেকে গাছপালা কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব। এসবের মধ্যেই এক সোমবার বিকেলে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল হলদিয়া শহরে। প্রৌঢ়ের আচমকা এভাবে চলে যাওয়ায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
উল্লেখ্য, রেমালের কারণে ঝড়-ঝঞ্ঝায় গতরাত থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করেছিল। রবিবার গভীর রাতে কলকাতায় একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল নীচে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির। তারপর আজ সকাল থেকে যত সময় গড়িয়েছে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এসেছে। দুর্যোগে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।