Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে বাধা পুলিশের, ৩ আইপিএসের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: শুক্রবার বিকেলে তেখালি ব্রিজ থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার জাতীয় পতাকা নিয়ে বাইক র্যালির আয়োজন করেছিল বিজেপি। এই মিছিল শুরু হতেই পথ আটকায় পুলিশ।
নন্দীগ্রাম: শুভেন্দুর অধিকারীর (Suvendu Adhikari) তিরঙ্গা যাত্রায় বাধা পুলিশের। যা নিয়ে উত্তাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহল। এদিন নন্দীগ্রামের (Nandigram) তেখালি ব্রিজের কাছে শুভেন্দুর এই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে নন্দীগ্রামের তেখালি থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত তিরঙ্গা যাত্রা করার কথা ছিল নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী জননেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সূত্রের খবর, মিছিলের কোনও অনুমতি না থাকার কারণেই মিছিল আটকে দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। এদিকে পুলিশের কাছে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। এমনকী তিনি শীঘ্রই এ বিষয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Home Minister Amit Shah) কাছে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে তেখালি ব্রিজ থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার জাতীয় পতাকা নিয়ে বাইক র্যালির আয়োজন করেছিল বিজেপি। এদিকে এদিন দুপুর থেকেই খেজুরি তেখালি ব্রিজের কাছে হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। মিছিল আটকাতেও শুভেন্দুর সঙ্গে বাদানুবাদও শুরু পুলিশের। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল না করেই ফিরে যান শুভেন্দু।
পুলিশি বাধা পেয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, “তেখালি ব্রীজ থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত ১৮-২০ কিলোমিটার! পায়ে হেঁটে এই কর্মসূচি পালন করা কার্যত মুশকিল! এই কর্মসূচিতে কোনও পলিটিক্যাল স্লোগান হবে না। শুধুমাত্র ভারত মাতার জয়! আমার নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রাম প্রধানমন্ত্রী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এসেছি! এই কর্মসূচী পালন করতে কোন অনুমতির প্রয়োজন হয় না! এখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়নি, কোন কোভিড প্রটোকল নেই! এখানে নন্দীগ্রামের বাসিন্দারাও রয়েছেন,কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয়।”
পুলিশকে ধমক সুরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ” আপনাদের কাছ থেকে কোনো উপদেশ নেব না! ১৯৫৬ ভোটে হারার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন বাঁচবেন তাঁকে এই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে। তাই দলদাস পুলিশকে দিয়ে বাধা দিচ্ছেন। ৫০০ পুলিশ নিয়ে এসেছে। আগামীকাল থেকে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব হবে। আমি তিনজন আইপিএসের বিরুদ্ধে এক্ষুনি মেল করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অভিযোগ জানাব। সেন্ট্রাল ক্যাডারের অফিসার হয়েও আইপিএসের কোড ভেঙেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি অমরনাথ কে-র আদেশে হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডের নির্দেশেই গোটা কাজ হয়েছে। এসপি অমরনাথ কে কাজ করেছেন ডিজি মনোজ মালব্যের নির্দেশে। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৭৫ বছরের স্বাধীনতা দিবসে দেশের আজাদি কি অমৃত মহোৎসবে হার ঘর তেরঙ্গার প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পরেও জনপ্রতিনিধিকে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না।”