Sishir on Kunal: ‘১৭ লাখের রিপোর্টার কুণাল’, সম্পত্তি ইস্যুতে পাল্টাবাণ শিশিরের
Sishir on Kunal: কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনে ২০০৯ সালে শিশির অধিকারীর জমা দেওয়া হলফনামা নিয়ে। কুণালের দাবি, সেখানে শিশির তাঁর মোট সম্পত্তি ১০ লক্ষের বলে জানান। কিন্তু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা দেওয়া ঘোষণাপত্রে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি।
পূর্ব মেদিনীপুর: কী করে একলাফে এত বাড়ল সম্পত্তি? শিশির অধিকারীকে নিশানা করে আগেই এই প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ঘটনার তদন্তের দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠিও দেন। এবার তার উত্তর আসতেই ফেসবুক পোস্ট করে তা জানিয়েছেন। তাঁর দাবি কেন্দ্র বাধা না দিলে তদন্ত নিশ্চিত। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কুণাল প্রসঙ্গ উঠতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন শিশির। কুণালের কথা জিজ্ঞেস করতেই রীতিমতো আক্রমণাত্মক সুরে বললেন, “কার কথা বলছেন ওই সারদার চোরের? সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকার রিপোর্টারের? ওই কুণাল তো সারদার টাকা চুরি করে জেল খেটে এসেছে। সে এখন বক্তৃতা করছে আমার নামে। ওর কাণ্ডজ্ঞান হওয়া দরকার।”
শিশির অধিকারীর দাবি, কিছু প্রশাসনিক ও আইনি জটে তাঁর একটা জমি আটকে ছিল। সেটার ভ্যালুয়েশন নিয়ে সমস্যা ছিল। তারই ছাপ দেখা গিয়েছে কমিশনে দেওয়া হলফনামায়। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই দফায় দফায় কুণালের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শিশির। তাঁর সাংবাদিক জীবন নিয়েও তুললেন প্রশ্ন। সুর চড়ালেন দিলেন সারদা কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়া নিয়েও। বলেন, কুণাল এখন আমার জায়গা নিয়ে কথা বলছে। বলছে সিবিআই চাই। বিরাট ব্যাপার। ও তো ক’মাস জেল খেটে এসেছে। ও তো সারদার চুরির টাকার রিপোর্টার। এখন রিপোর্টাররা কত পায় জানি না, কিন্তু তিনি ছিলেন সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকার রিপোর্টার। এখানেই না থেমে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “সারদার হয়ে দালালি করে টাকা তুলেছেন। খেয়েদেয়ে ভুরি মোটা করে ফেলেছেন। এখন একটা বয়স্ক লোককে ধরেছেন। আগে জেলে ছিলেন, আবার যাবেন। আমাকে যদি ধরে নিয়ে যেতে পারে তাহলে আমার তো সেবা দরকার হবে। ও পারবে। ওর গায়ে শক্তি আছে।”
এদিকে কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনে ২০০৯ সালে শিশির অধিকারীর জমা দেওয়া হলফনামা নিয়ে। কুণালের দাবি, সেখানে শিশির তাঁর মোট সম্পত্তি ১০ লক্ষের বলে জানান। কিন্তু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা দেওয়া ঘোষণাপত্রে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি। এরইমধ্যে আবার ২০১৯ সালে কমিশনে নতুন জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায় শিশিরের সম্পত্তি ৩ কোটির। কী করে এই ওঠাপড়া চলল তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কুণাল। চাইছেন তদন্ত।