Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর, অভিযুক্ত TMC, গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়ার নিদান শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: ঘটনাস্থল থেকে শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেন, "তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত অফিস অপবিত্র করেছে। গঙ্গাজল দিয়ে পঞ্চায়েত অফিস ধুয়ে পবিত্র করার কথা বলেছি।" এই ঘটনার সঙ্গে কারা-কারা যারা তাদের নেতৃত্বই বা কে কে দিয়েছেন তাঁদের নামও বলেন তৃণমূল নেতা। একই সঙ্গে সোমনাথ বেরাকেও কটাক্ষ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
তমলুক: বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে মঙ্গলবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়েছিল তমলুকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। শাসকদলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার খবর পৌঁছয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। বুধবার দুপুরেই নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে গঙ্গাজল দিয়ে অফিস পরিষ্কারেরও নিদান দেন তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত অফিস অপবিত্র করেছে। গঙ্গাজল দিয়ে পঞ্চায়েত অফিস ধুয়ে পবিত্র করার কথা বলেছি।” এই ঘটনার সঙ্গে কারা-কারা যারা তাদের নেতৃত্বই বা কে কে দিয়েছেন তাঁদের নামও বলেন তৃণমূল নেতা। একই সঙ্গে সোমনাথ বেরাকেও কটাক্ষ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
যদিও, এই হামলার ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয় বলে সাফ জানিয়েছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। উত্তর সোনামুই বুথ যুব সভাপতি শুভ প্রাসাদ মান্না বলেন, “এটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। একশো দিনের কাজের টাকা না পেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছএ। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল অফিসের সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ সভা ছিল। সেই বিক্ষোভ সভাতে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা সহ তৃণমূল ব্লক ও স্থানীয় নেতৃত্ব। ওই দিনের কর্মসূচি থেকে সোমনাথবাবু বলেছিলেন এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের দখলে ছিল। তবে এখন এটি বিজেপির দখলে চলে গিয়েছে। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত অফিসকে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছে গেরুয়া শিবির। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই দিনই সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপরই সুর চড়ায় গেরুয়া শিবির। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতার এ হেন মন্তব্যের জন্যই ২০০ লোক হামলা চালিয়েছে এই অঞ্চল অফিসে।