‘মমতা ব্যানার্জির সিআইডি দিয়ে কিচ্ছু হবে না’, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের কটাক্ষ শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: "সিআইডি-কে দিয়েও কিছু হবে না। ওরা মানেই মমতা ব্যানার্জি। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা চলছে হাইকোর্টে। রাজ্যে যেখানে যেখানে কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে দল তার সীমিত ক্ষমতা নিয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে তৃণমূলের সাথে কিছু দুষ্কৃতী ও পুলিশ রয়েছে... রাজ্যের পুলিশ যদি কাজ করত তা হলে কোর্টে মামলা করতে হত না (আমাদের)।

'মমতা ব্যানার্জির সিআইডি দিয়ে কিচ্ছু হবে না', রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের কটাক্ষ শুভেন্দুর
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2021 | 7:46 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিআইডি দিয়ে কিছু হবে না। হলে আমাদের হাইকোর্টে যেতে হত না।” রবিবার এগরায় মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্যের বিরোধী নেতার মন্তব্য, ‘তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে দুষ্কৃতী আর পুলিশ। আর সিআইডিকে দিয়ে কিছু হবে না। কারণ, ওরা মানেই মমতা ব্যানার্জি।’

গত সোমবার এগরা এক ব্লকের কসবা এগরা গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত হরিচক নতুন পুকুর পাড়ে তপন খাটুয়া নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মৃত তপন খাটুয়া বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলে। তবে কে বা কারা খুন করেছে তা এখনও জানা যায়নি।

এই প্রেক্ষিতে এদিন মৃত তপন খাটুয়ার বাড়িতে এসে দলের পক্ষ থেকে সেই পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন শুভেন্দু। সেখান থেকেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমালোচনা করতে শোনা যায়। শুভেন্দু বলেন, “আমাদের কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায়। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেনি। মাননীয়ার পুলিশ এই কাজগুলো করতে পারে না।’

তিনি আরও যোগ করেন, “এই পিছিয়ে পড়া পরিবার মোবাইল চালাতেও পারে না। পুলিশের উচিত ছিল ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটা কেস করা। কিন্তু রাজ্যে তো আইনের শাসন নেই। আর সিআইডি-কে দিয়েও কিছু হবে না। ওরা মানেই মমতা ব্যানার্জি। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা চলছে হাইকোর্টে। রাজ্যে যেখানে যেখানে কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে দল তার সীমিত ক্ষমতা নিয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে তৃণমূলের সাথে কিছু দুষ্কৃতী ও পুলিশ রয়েছে… রাজ্যের পুলিশ যদি কাজ করত তা হলে কোর্টে মামলা করতে হত না (আমাদের)। দুই তারিখের পর থেকে ৫০ জন কর্মী খুন হয়েছে এই সরকারের রাজত্বে।”

এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতির পাল্টা আক্রমণ, “রাজ্যে যেখানে খুন হচ্ছে, সেখানে শুভেন্দুবাবু পৌঁছে গিয়ে বলছেন যে মৃত ব্যক্তি ওঁনাদের কর্মী। এই বলে ব্যাপারটা হাইলাইট করার চেষ্টা করছেন। পরিবারের তরফে এগরা থানায় শনিবার অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে কোথাও তৃণমূলের নাম নেই। অজ্ঞাত পরিচয় বলেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আইসি-কে বলেছি যেই হোক না কেন অপরাধীকে গ্রেফতার করুন। কিন্তু শুভেন্দুবাবু এসে বলছেন রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। ওঁনার ব্যাক্তিগত চেতনার অবনতি হয়েছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে।” আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের ওপর আক্রমণ ন্যক্কারজনক,’ ত্রিপুরা-কাণ্ডে মইদুলকে স্মরণ দীপ্সিতার