‘তৃণমূলের ওপর আক্রমণ ন্যক্কারজনক,’ ত্রিপুরা-কাণ্ডে মইদুলকে স্মরণ দীপ্সিতার

Dipsita Dhar: "আমার আগের একটা কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। মইদুল মিদ্দার মুখটা খুব মনে পড়ছে। যখন পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় চাকরি চাইতে গিয়ে পুলিশের মারে রাস্তায় খুন হয়।''

'তৃণমূলের ওপর আক্রমণ ন্যক্কারজনক,' ত্রিপুরা-কাণ্ডে মইদুলকে স্মরণ দীপ্সিতার
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2021 | 3:48 PM

হুগলি: ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর আক্রমণ ‘ন্যক্কারজনক,গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।’ রবিবার এমনই মন্তব্য করলেন সিপিআইএম-এর যুব নেত্রী দীপ্সিতা ধর। এদিন কোন্নগরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সূদর্শন রায় চৌধুরীর স্মরণে এক রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান থেক দীপ্সিতা বলেন, “আমার মনে হয় ভারতের যেকোনও প্রান্তে যেকোনও মানুষের যাওয়ার এবং রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে। যে গ্রেফতার হয়েছে অথবা যে হামলা হয়েছে সেটা ন্যক্কারজনক।” একই সঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে চাকরির দাবিতে নবান্ন অভিযানে এসে মইদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার তুলনা টানলেন তিনি।

শনিবারের পর রবিবারও ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের ঘিরে ধন্ধুমার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে আইন ভাোঙার অভিযোগে ধরপাকড় হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। এদিন থানায় যান অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ প্রমুখ। দেবাংশু অভিযোগ করেন তাঁদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে ত্রিপুরা পুলিশ।

এই প্রেক্ষিতে একুশের ভোটের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতার মন্তব্য, “আমার আগের একটা কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। মইদুল মিদ্দার মুখটা খুব মনে পড়ছে। যখন পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় চাকরি চাইতে গিয়ে পুলিশের মারে রাস্তায় খুন হয়। আমরা একটা নিউজ চ্যানেলে ছিলাম। সুদীপ যাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে, আমি আশা করি খুব শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবে। আমার সমস্ত শুভেচ্ছা থাকল ওঁর জন্য। ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এসেছিল। আমি ওঁকে বারবার বলেছিলাম, তুমি তৃণমূলের পক্ষে নয়। একজন ছাত্র যুবর হয়ে বলো। একজন চাকরি চাইতে এসে পুলিশের মারে খুন হল, তুমি এই ঘটনাটা কে ধিক্কার জানাচ্ছ কিনা। সুদীপ কষ্ট করে হলেও সেদিন সেটার বিরোধিতা করতে পারেনি। ধিক্কার জানাতে পারেনি। তবে আমরা ওর প্রতি যে আক্রমণ হয়েছে তার নিন্দা জানাই এবং ধিক্কার জানাই। কারণ, এই দেশটা গণতান্ত্রিক দেশ। সবার বলার অধিকার আছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমার মনে হয় এটা সুস্থ সংস্কৃতি নয়। পশ্চিমবঙ্গে যখন বিজেপি নেতারা এসেছিলেন সেই হামলারও আমরা যেমন ধিক্কার জানিয়েছি। দুটোর মধ্যে কোনটাই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ নয়। এবারের নির্বাচন আমরা যখন লড়েছি আমরা বারবার বলেছি হিংসার রাজনীতি বন্ধ হোক। আমরা গণতন্ত্র প্রিয় দল সেটা ত্রিপুরা হোক এখানে হোক আমরা এই ধরনের আক্রমণ এর নিন্দা করছি ধিক্কার জানাচ্ছি।”

এদিকে শনিবার ত্রিপুরা সিপিএমের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তৃণমূল প্রতিনিধিদের ওপর এই আচরণ ফ্যাসিস্ট-সুলভ। ছত্রেছত্রে বিজেপির নিন্দা করেছে মানিক সরকারদের দল। লেখা হয়েছে, “আমবাসা মহকুমা ও ধর্মনগর শহরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের ওপর রাজ্যের শাসক দল বিজেপি দুর্বৃত্ত বাহিনীর ফ্যাসিস্ট সুলভ আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছে ত্রিপুরা সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী।”

অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “যে কোনও মানুষের রাজননীতি করার অধিকার আছে। তাঁরা রাজনীতি করতে গেলেই বিরোধী পক্ষ বলে আক্রমণ করতে হবে! আপাতত পছন্দ হচ্ছে না, পরে তো পছন্দ হতে পারে।” এর পরেই তাঁর টিপ্পনী, “তৃণমূল বিজেপির কাছে শিক্ষা নিচ্ছে, নাকি বিজেপি তৃণমূলের কাছে শিক্ষা নিচ্ছে?” তিনি আরও যোগ করেন, এ রাজ্যে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর হিম্মত সবার হয় না। আরও পড়ুন: প্রিজন ভ্যানের শিক বেঁকিয়ে পালিয়েও রক্ষা হল না! ফের পুলিশের জালেই সেই পলাতক আসামি