Suvendu Adhikari: ‘সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’, শান্তিকুঞ্জে বঙ্গজননী বাহিনী পাঠানোর কথা শুনে বেজায় চটলেন শুভেন্দু

Suvendu vs Kunal: শান্তিকুঞ্জ নিয়ে কুণাল যে মন্তব্য করেছেন, তা পাল্টা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ওরা বরাবরই আমার বাড়িকেই টার্গেট করে। যেহেতু ওখানে আমার বৃদ্ধ বাবা মা থাকেন। আমাকে তো কিছু করতে পারে না।"

Suvendu Adhikari: 'সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে', শান্তিকুঞ্জে বঙ্গজননী বাহিনী পাঠানোর কথা শুনে বেজায় চটলেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2022 | 7:27 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের জেলা ও ব্লকস্তরের মধ্যে সেতুবন্ধনের দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। আর তারপর থেকেই জোরকদমে জনসংযোগে নেমে পড়েছেন তিনি। রবিবাসরীয় সকালে জেলায় এক চা-চক্র থেকে দলের বঙ্গজননী বাহিনীকে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। বিরোধীদের ঘরের মহিলা ভোটও যাতে তৃণমূলের দিকে আসে, সেই জন্য রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের খতিয়ান বিরোধীদের বাড়ির মহিলাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেই সময় কুণাল প্রতীকী হিসেবে বলেছেন, শান্তিকুঞ্জে দিব্যেন্দুর স্ত্রীকে দিয়েই সেই কর্মসূচি শুরু করার জন্য। এবার তার পাল্টা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন, “প্রত্যেকটা জিনিসেরই সমান এবং বিপরীতধর্মী প্রতিক্রিয়া আছে।”

শান্তিকুঞ্জ নিয়ে কুণাল যে মন্তব্য করেছেন, তা পাল্টা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওরা বরাবরই আমার বাড়িকেই টার্গেট করে। যেহেতু ওখানে আমার বৃদ্ধ বাবা মা থাকেন। আমাকে তো কিছু করতে পারে না। যার যেমন সংস্কৃতি সে তেমনই করবে। কিন্তু প্রত্যেকটা জিনিসেরই সমান এবং বিপরীতধর্মী প্রতিক্রিয়া আছে। গত দেড় বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারার পর থেকে তাদের লক্ষ্য আমার হোমটাউন।” সেই সঙ্গে তৃণমূল শিবিরের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমার কলকাতায় থাকারও জায়গা আছে। থাকিও অধিকাংশ দিন। আমি বাড়িতে থাকি না। আমার বৃদ্ধ বাবা-মা থাকেন। আমার ভাইপো-ভাইঝিরা থাকে। তাঁদেরকে টার্গেট করে যাঁরা এ সব করে, তাঁদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি বাংলার লোক দেখবে। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছেন। তাঁরা দেখুন। কুকুর মানুষের পায়ে কামড়ায়। মানুষ কখনও কুকুরের পায়ে কামড়ায় না।”

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার বিধানসভায় মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাৎ নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। বিধানসভার সেই সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়েও এদিন সরব হন তিনি। বললেন, “মার্শাল ডাকতেই ভাবলাম ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। তাই আমি বিজেপি বিধায়ক নিয়েই যাবো ঠিক করলাম। ওখানে এক কাপ চাও খাইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর করে আমার লড়াই থামবে।”