Tamluk Attacked: সরস্বতী পুজোয় মেলা বসেছে, রাত বারোটার পর সেই ভিড়েই সহোদর দাদা-বোনের অবস্থা ঢি ঢি ফেলে দিল গ্রামে
Tamluk Attacked: মেলায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যেই ছোটাছুটি পড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই শুরু হয়ে যায় ঠেলাঠেলি।
পূর্ব মেদিনীপুর: গ্রামে সরস্বতী পুজোর মেলা বসেছে। দাদার সঙ্গেই ঘুরতে গিয়েছিলেন বোন। অনেকটা রাত পর্যন্ত মেলায় ভিড় থাকে। সেই ভিড়েই মিশেছিলেন দাদা-বোন। আচমকাই চিৎকার। হট্টগোল। মেলায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যেই ছোটাছুটি পড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই শুরু হয়ে যায় ঠেলাঠেলি। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় দাদা-বোন। মেলার ভিড়ের মাঝেই দাদা-বোনের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বল্লুক স্বরস্বতি মেলাতে। দুষ্কৃতী হামলায় আহত দাদা বোন। তদন্তে তমলুক থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার বল্লুক গ্রামে স্বরস্বতী মেলা চলাকালীন গভীর রাতে বল্লুক গ্রামের বাসিন্দা তাঁর পরিবার নিয়ে মেলা দেখছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন মদ্যপ যুবক ওই পরিবারের সদস্যদের কটূক্তি করে। মেলাতেই শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ওই যুবক প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁর ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
ওই যুবকের গলায় কোপ মারা হয়। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর বোনও। ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয় তাঁর ওপরেও। সঙ্গে সঙ্গে মেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তরা ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে চম্পট দেয়। তারপরে স্থানীয় বাসিন্দারা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে কাঁকটিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরোন কোনও শত্রুতা না কোনও প্রেমঘটিত ব্যাপার, সব কিছুই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।