Contractual Teachers Movement: শীতের রাতে খোলা আকাশের নীচে ২০ দিন! চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে অনশনে শিক্ষকরা

Purba Medinipur: স্কুল খোলার পরই কাজ হারান ৩২০ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী।

Contractual Teachers Movement: শীতের রাতে খোলা আকাশের নীচে ২০ দিন! চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে অনশনে শিক্ষকরা
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের অনশন আন্দোলন (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 1:50 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: একটানা কুড়িদিন। অনশন চলেছে ওদের। স্কুলে পুনরায় ফেরার দাবিতে অনড় এনএসকিউএফ কর্মী ও শিক্ষকরা।

১৬ই নভেম্বর রাজ্যে খুলেছে স্কুলের তালা। ছাত্র-শিক্ষক আবারও সম্মুখ পানে। দীর্ঘ কুড়ি মাসের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্কুলমুখর হয়েছে পড়ুয়ারা। ফের মুখোমুখি শিক্ষা নেওয়া ও দেওয়ার পালা। সেই কারণে আবেগী হয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ ছাত্র ও ছাত্রীরাও। শিক্ষাক্ষেত্রে আবারও ফুটে উঠেছে প্রাণের সঞ্চার। কিন্তু সেই আবেগে প্রাণ ফিরে পেল না এই তিনশো কুড়িজন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান ও কর্মীরা । কারণ স্কুল খুলতেই বাদ দেওয়া হয়েছে এদের সকলকে।

এদিকে, স্কুলে ফিরতে মরিয়া এই সমস্ত শিক্ষক ও কর্মীরা । সেই কারণে অনশনে অনড় রয়েছেন তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে দীর্ঘ কুড়ি দিন ধরে অনশনে অনড় রয়েছেন এই সমস্ত স্কুল কর্মীরা। স্কুলে ফেরা, চাকরির স্থায়িত্ব , বেসরকারীকরণ থেকে সরকারীকরণ সহ একাধিক দাবি নিয়ে আজও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন এই সকল কর্মীরা। জনদরদি সরকারের কাছে শিক্ষা দরদী হওয়ার আবেদন অনশনকারীদের।

এক অনশনকারী শিক্ষক জানিয়েছেন, “আজ নিয়ে আমাদের অনশন কুড়ি দিনে পড়ল। দীর্ঘ কুড়ি দিন পর্যন্ত আমরা এইখানেই রয়েছি। এখন আমরা তিনশ কুড়ি জন কর্মহারা। স্কুল খোলার পর আমাদের চাকরি চলে গিয়েছে। প্রথমদিন যাওয়ার পর অ্যাটেনডেন্স খাতায় আমাদের সই করতে দেওয়া হয়নি। বলা হচ্ছে আমাদের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে। সেই কারণে তোমাদের আর আসতে হবে না। সেই কারণে আমরা চাইছি এইভাবে একটা এজেন্সি দিয়ে না চালিয়ে সরাসরি সরকারি আওতায় যাতে আনা হয়।”

এদিকে, কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সদের বিক্ষোভ। বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন নার্সরা। চার দিনের অনশনে ইতিমধ্যেই অসুস্থ এক জন। আরও ৬ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।

সূত্রপাত হয়েছিল পুজোর মাস তিনেক আগেই। বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে এসএসকেএম চত্বরে বিক্ষোভে সামিল হন নার্সরা। সে সময় তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়, মাস তিনেকের মধ্যেই সেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

কিন্তু অভিযোগ, তিন মাসের সময়সীমা যখন শেষ হয়ে আসছে, তখন আচমকাই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে একটি বদলির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে ৩৫ জন নার্সকে বদলি করা হয়েছে। এই ৩৫ জনের মধ্যে এমন ১১ জন রয়েছেন, যাঁরা সে সময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

ওই ১১ জনকে ডিম রিলিজ় করা হয়েছে। অর্থাত্ তাঁরা বর্তমানে যেখানে কর্মরত, সেখানে তত্ক্ষণায় কাজ শেষ করে যেখানে বদলি করা হচ্ছে, সেখানে কাজে যোগ দিতে হবে। এই বদলির নির্দেশকে প্রতিহিংসা স্বরূপ দেখছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, যাতে নার্সদেন বেতন বৃদ্ধির দাবি না মানা হয়, তার জন্যই সুকৌশলভাবে এই বদলির নির্দেশ।

আরও পড়ুন: Gold trader: সোনা ব্যবসায়ীকে লুঠ দুষ্কৃতীদের, বাধা দিতে গেলে চোখে বিষাক্ত তরল ছুঁড়ে পালায় তারা