TMC: এবার মহিলা প্রধানের স্বামীদেরও ট্রেনিং দিচ্ছে তৃণমূল, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

TMC: সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ৫ থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের দফতরে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবেন গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন করে কর্মী। পাশাপাশি মহিলা সভাপতি ও তাঁর স্বামীদেরও ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে।

TMC: এবার মহিলা প্রধানের স্বামীদেরও ট্রেনিং দিচ্ছে তৃণমূল, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
পঞ্চায়েতের ট্রেনিং Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 1:08 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: বিভিন্ন জেলায় বহুক্ষেত্রে অভিযোগ আসে মহিলা প্রধানদের স্বামীদের একাংশের ঝামেলায় জড়ানোর খবর। কখনও বা তোলাবাজির অভিযোগ, কখনও আবার অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কোথাও আবার দেখতে পাওয়া যায় স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান। তবে বকলমে চালাচ্ছেন স্বামী। এমন আবহের মধ্যে এবার একটি নির্দেশি জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে। গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানদের স্বামীদেরও পড়ানো হচ্ছে পঞ্চায়েতের পাঠ।

সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ৫ থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের দফতরে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবেন গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন করে কর্মী। পাশাপাশি মহিলা সভাপতি ও তাঁর স্বামীদেরও ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলার ১৩৮ জন মহিলা প্রধান ও তাঁদের স্বামীদের দেওয়া হবে ট্রেনিং। তৃণমূল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের কাজ কীভাবে করা হয় তার একটি সম্যক ধারণা দেওয়া হবে প্রধানদের স্বামীদেরও। একজন গ্রাম প্রধানের কী ভূমিকা, তাঁরা কী কাজ করেন সবটাই মহিলা প্রধানদের স্বামীদের জানানো হবে।

আর এই নয়া নির্দেশিকা জারি হতেই তাই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশীষ মণ্ডলের অভিযোগ, “এই ব্যবস্থা যদি হয় তাহলে মহিলা সংরক্ষিত করার কী মানে হয়? আসলে ঘুরিয়ে তৃণমূল নেতাদের তোলাবাজি,কাটমানি খাওয়ার লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।” পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। তাদের বক্তব্য, মহিলা গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানদের স্বামীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অর্থ হল, মহিলাদের ক্ষমতা সম্পর্কে তাঁদের স্বামীদেরও স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করে দেওয়া। এই বিষয়ে রুরাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার দেব দুলাল বিশ্বাস বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতা সম্পর্কে পুরুষদেরও বুঝতে হবে। স্বামীদের বুঝতে স্ত্রী যখন প্রধান হয়েছেন তার উপর যেন পারিবারিক কোনও চাপ তৈরি করা না হয়। মহিলারা সুস্থভাবে কাজ করতে পারে সেই কারণে এই কর্মসূচি।”