TMC: ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হবেন না…’, সরাসরি তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে নিশানা যুব নেতার
TMC: ফের কি বেআব্রু হয়ে যাচ্ছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? প্রশ্ন উঠছে, যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি পার্থ সারথি মাইতির এক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। সরাসরি দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা।
তমলুক: রাজ্য রাজনীতির অন্য়তম হাইভোল্টেজ জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। প্রতি মুহূর্তে ঘটনার ঘনঘটা। আর এসবের মধ্যে নয়া বিতর্ক তমলুকে তৃণমূলের অন্দরে। লোকসভা ভোটের মুখে জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে জনসংযোগে আরও জোর দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু সেখানেও কি বেআব্রু হয়ে যাচ্ছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? প্রশ্ন উঠছে, যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি পার্থ সারথি মাইতির এক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। সরাসরি দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা। ফেসবুকে লম্বা-চওড়া পোস্ট করে জেলা সভাপতিকে অনুরোধ করেছেন ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ না হওয়ার জন্য।
তৃণমূলের তমলুক জেলা সভাপতির ছবি পোস্ট করে লম্বা-চওড়া ওই লেখার একেবারে শেষের দিকে যুব তৃণমূল নেতা লিখেছেন, “সবাইকে নিয়ে চলুন। আপনার কাছে করজোড়ে অনুরোধ, আপনি অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হবেন না। আমরা আমাদের শহরকে ভালবাসি। তমলুককে বাঁচান।” কিন্তু কেন হঠাৎ জেলা সভাপতির উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খুল্লামখুল্লা পোস্ট করলেন ওই যুব নেতা? পার্থসারথিবাবুর বক্তব্য, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে দলের সব কাউন্সিলরকে কর্মসূচিগুলিতে দেখা যাচ্ছে না। বলছেন, “আমাদের ১৮ জন কাউন্সিলর থাকলেও, প্রতিটি কর্মসূচিতে ৮-৯ জন কাউন্সিলর থাকছেন। বাকি ৮-৯ জন কাউন্সিলর যে কোনও কারণেই থাকছেন না।”
ওই যুব তৃণমূল নেতার বক্তব্য, কর্মসূচির জন্য তিন দিন আগে থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে গেলেও, অনেক নেতার কাছেই ‘আধ ঘণ্টা আগে বা পনেরো মিটিন আগে দায়সারাভাবে’ ডাক যাচ্ছে। কেন ওই নেতারা কর্মসূচিতে নেই, সেই বিষয়ে জেলা সভাপতিও নজর দিচ্ছেন না বলে দাবি যুব নেতার।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও। তাঁর বক্তব্য, কারও কাছে যদি কোনও প্রমাণ থাকে যে তিনি কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না করে দলের কাছে অভিযোগ জানানো হোক। বললেন, “দলের সম্পর্কে কারও কিছু বলার থাকলে তাঁরা ফেসবুকে কেন পোস্ট করবেন? কিছু বলার থাকলে কার্যালয়ে এসে বলুন, না হলে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে জানান।”
এদিকে এই বিতর্কের মধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপিও। এমন ডামাডোলের নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই উস্কে দিচ্ছে স্থানীয় বিজেপি শিবির।