Kunal attacks Suvendu: ‘সারদা নিয়ে আমার মুখোমুখি বসুক, টিভিতে টেলিকাস্ট হোক, দেখব মুরোদ কত’, শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ কুণালের
Kunal attacks Suvendu: রাজনীতির অন্য বিষয় নয়, শুধুমাত্র সারদা চিটফান্ড নিয়ে আমার মুখোমুখি বসুক। সবকটা টিভি চ্যানেলে টেলিকাস্ট করুক। দেখব তোমার মুরদ কত। শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ কুণালের।
নন্দীগ্রাম: “শুভেন্দু আগে ঘর সামলাও, পরে ভাববে বাংলা”, নন্দীগ্রামের বিজেপির দলত্যাগী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের তৃণমূলে স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এ ভাষাতেই চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে এদিন বিশেষ রাজনৈতিক কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে। সাউদখালি মনসাবাজার এসএসকে মাঠে অনুষ্ঠিত এই সভায় এদিন কুণাল ছাড়াও ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
এদিনের এ সভা থেকেই বিজেপির নন্দীগ্রাম-১ দক্ষিণ মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি জয়দেব দাস-সহ ৩৩ জন নেতা সাড়ে পাঁচশো সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। দলত্যাগী যুব মোর্চার নেতা বটকৃষ্ণ দাস অবশ্য উপস্থিত হতে পারেননি এদিনের যোগদান কর্মসূচিতে।
এদিন কুণাল বলেন, “বিজেপিতে থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন ওঁরা। তখন নন্দীগ্রামে তৃণমূল চালাত শুভেন্দু। ওর চোখে নন্দীগ্রামকে দেখতেন মমতা ব্যানার্জি। ইডি-সিবিআই-র হাত থেকে বাঁচতে সে গিয়ে এখন বিজেপিতে জাঁকিয়ে বসে আছে। তাই জয়দেবরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওর পরির্বতে মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ বলার। ওদের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।” কুণাল বলেন, “শপথ নিন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল যেন শুভেন্দুর মুখের চুনকালি হয়।আমাদের লড়াই যার বিরুদ্ধে ওই শত্রুর হাত দুর্বল করে দিতে হবে।” এরপরেই শুভেন্দুর দিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কুণাল বলেন, “নন্দীগ্রামের মাটিতে শুভেন্দুর জায়গা হবে না। যখন ভাষা হারিয়ে ফেলে তখন কথাবার্তায় সারদার কথা তোলে শুভেন্দু। আমি বলছি যদি এক বাপের ব্যাটা হলে রাজনীতির অন্য বিষয় নয়, শুধুমাত্র সারদা চিটফান্ড নিয়ে আমার মুখোমুখি বসুক। সবকটা টিভি চ্যানেলে টেলিকাস্ট করুক। দেখব তোমার মুরোদ কত। তুমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াও।”