Recruitment Scam: ‘আমি আমার নিজের সোর্সে চাকরি করে দিই’, প্রাথমিকে চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে স্বীকারও করলেন যুবক

Mahishadal: মহিষাদলের কাপাসএড়্যা এলাকার বাসিন্দা দেবপ্রসাদ সেনী। তাঁর ডাক নাম লুড়কা। অভিযোগ, তিনি গত তিন-চার বছর ধরে মহিষাদল এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন।

Recruitment Scam: 'আমি আমার নিজের সোর্সে চাকরি করে দিই', প্রাথমিকে চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে স্বীকারও করলেন যুবক
অভিযুক্ত দেবপ্রসাদ সেনী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2022 | 11:15 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: প্রাথমিকে চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল মহিষাদলে। প্রাথমিকে চাকরি করে দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এবার। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্বীকারও করেছেন, চাকরি দেবেন বলে টাকা নেন।  একইসঙ্গে বলেন, নিজের ‘সোর্স’-এর জোরে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। মহিষাদল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

মহিষাদলের কাপাসএড়্যা এলাকার বাসিন্দা দেবপ্রসাদ সেনী। তাঁর ডাক নাম লুড়কা। অভিযোগ, তিনি গত তিন-চার বছর ধরে মহিষাদল এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন। অভিযোগ, প্রাথমিকে চাকরি দেবেন বলে এই টাকা নেন। কিন্তু কেন দেবপ্রসাদকে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা দিতেন? সূত্রের দাবি, দেবপ্রসাদ নাকি একজনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। সেই ভরসাতেই টাকা দিতেন অন্যরা। চার পাঁচ বছর কেটে গেলেও কেউ চাকরি পাননি। এরপরই তাঁকে চেপে ধরেন যাঁরা প্রার্থী। এমনও অভিযোগ, টাকা ফেরত চেয়ে অনেকে চেক পান, যা বাউন্স করে যায়।

চাকরি প্রার্থী বিমলকুমার মাইতি বলেন, “প্রাইমারিতে চাকরি করে দেবে বলে আমার কাছ থেকে দেবপ্রসাদ সাড়ে ৮ লাখ টাকা নেন। কাগজপত্র নেন। চাকরি তো করে দিতে পারেননি, উল্টে টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। কাগজপত্রও দেননি। প্রাইমারির এক প্রাক্তন কর্তার নাম করে আমাকে বলেছিলেন খুব ভাল সম্পর্ক। আমিও ভাবলাম, হয়ত কাজটা হয়ে যাবে। কিন্তু পরে দেখলাম ঠকে গেছি।”

যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই দেবপ্রসাদ সেনী বলেন, “চাকরির জন্য টাকা নিয়েছি। ১ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছি। তবে কারও নাম করে আমি চাকরি দেব, এ কথা কোনওদিন বলিনি। এটা মিথ্যা। আমার সোর্স আছে। তার ভিত্তিতে চাকরি দেব বলেছি।” একইসঙ্গে জানান, “এখন এটা বন্ধ আছে।” মানে আপাতত ‘নিয়োগ’ স্থগিত।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দেবপ্রসাদ সেনীর মতো আরও অনেক লোক আছেন, বড় বড় মাথা আছেন এর পিছনে। চাকরির নাম করে যারা টাকা পৌঁছে দিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের কাছে।” এ প্রসঙ্গে মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর বক্তব্য, “আমাদের দল কোনও আপোসে বিশ্বাসী নয়। তার প্রমাণ দল দিয়েছে।”