Panskura: হাইকোর্টের ধমকের পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা, ভাঙা হল পাঁশকুড়ার INTTUC অফিস

Panskura: আদালতের নির্দেশ বলবৎ হওয়ার পর মইনউদ্দিন জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যে কাজ হয়েছে, এর জন্য তিনি খুব খুশি। পাশাপাশি পুলিশ সুপারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

Panskura: হাইকোর্টের ধমকের পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা, ভাঙা হল পাঁশকুড়ার INTTUC অফিস
ভেঙে ফেলা হল পাঁশকুড়ায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের অফিস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 9:42 PM

পাঁশকুড়া : সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পাঁশকুড়া থানা এলাকার দক্ষিণ গোপালপুরে বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় ভেঙে ফেলার জন্য। সেই মতো মঙ্গলবার পুলিশের উপস্থিতিতে পূর্ত দফতরের তরফে ওই বেআইনিভাবে নির্মিত কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়। ওই পার্টি অফিসের পাশে শেখ গোলাম মইনউদ্দিনের বাড়ি। তিনিই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এদিন আদালতের নির্দেশ বলবৎ হওয়ার পর মইনউদ্দিন জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যে কাজ হয়েছে, এর জন্য তিনি খুব খুশি। পাশাপাশি পুলিশ সুপারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বেআইনি ওই নির্মাণ নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ত দফতরকে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কেন সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ওই নির্মাণব ভেঙে পুলিশ সুপারকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা বিষয়টি নিয়ে এতটাই বিরক্ত হয়েছিলেন যে তিনি মন্তব্য় করেছিলেন, “রাজ্য পুলিশ সহযোগিতা না করলে, কাজ না হলে, প্রয়োজনে সিআরপিএফ-এর সাহায্য নিয়ে ভাঙতে হবে।” এরপরই মঙ্গলবার পুলিশের উপস্থিতিতে ভেঙে দেওয়া হয় ওই কার্যালয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে নির্মিত এই কার্যালয়টি প্রথমে বাম শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ-এর ছিল। পরবর্তী সময়ে ওই কার্যালয়টি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র ‘দখলে’ চলে যায়। এতদিন ধরে এই কার্যালয়টি ব্যবহার করে আসছিলেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনিসুরের অনুগামীরা। স্থানীয় সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। তবে এদিন কার্যালয় ভাঙার পর তৃণমূলের কেউ বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

জানা গিয়েছে, এর আগে রবিবার ওই নির্মাণ ভাঙার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পরে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন পূর্ত দফতরের কর্মীরা। তাই তখন শুধু পার্টি অফিসের সামনে থাকা একটি দেওয়াল ও একটি পান দোকানের গুমটি ভেঙেই চলে যান তাঁরা। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে পিডাব্লুডি-র এক অফিসার অমিত কুমার মাইতি বলেন, “সেদিন একটা গোলমাল হয়ে ছিল। পুলিশ বাহিনী কম ছিল। সে দিন আটকাতে পারিনি। আজ পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী দেওয়া হয়েছে। আমরা ভাঙার কাজ শান্তিপূর্ণ ভাবেই করেছি।”