Suvendu Adhikari: আজ থেকে রাজ্য পুলিশের নাম দিলাম মমতা পুলিশ: শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: বিধানসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন মেঘনাদ পাল। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সমবায় ব্যাঙ্কে জাল নথি জমা দিয়ে তিনি চাকরি করছেন।
রবিবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের বাড়ি তথা বিধায়ক কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তমলুক মহকুমা পুলিশের আধিকারিকরা সেখানে ছিলেন, সঙ্গে নন্দীগ্রাম পুলিশও। এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করেন শুভেন্দু। লেখেন, ‘আগাম কোনও খবর না দিয়ে, কোনও তল্লাশির ওয়ারেন্ট ছাড়াই, কোনও ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াই রাজ্য পুলিশ জোর করে আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক অফিসে ঢুকে পড়ে। এটা বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের একটা ঘৃণ্য পরিকল্পনা।’
বিধানসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন মেঘনাদ পাল। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সমবায় ব্যাঙ্কে জাল নথি জমা দিয়ে তিনি চাকরি করছেন। সেই সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতেই নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের হরিপুরে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু মেঘনাদ ও তাঁর স্ত্রীকে না পেয়ে পুলিশ বিধায়কের কার্যালয়ে তাঁদের খোঁজে যায় বলে অভিযোগ। এই কার্যালয় নন্দীগ্রামের নন্দনায়ক বাড়ে। সেখানে বিধায়কের কার্যালয়ের সঙ্গে বিধায়কের থাকার জায়গাও রয়েছে।এখানেই বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই রাজ্য পুলিশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে চক্রান্তের অভিযোগও ওঠে।
তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তুষার মণ্ডলের স্পষ্ট বক্তব্য, এতে শাসকদলের কোনও ভূমিকা নেই। পুরোপুরি আইনি বিষয়। মেঘনাদ পালের স্ত্রী রুমা জানা পালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তেই পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ হয়ত মনে করেছে অভিযুক্ত সেখানে থাকলেও থাকতে পারেন, তাই গিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আইন মেনেই অভিযান চলেছে।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নন্দীগ্রামে বিধায়ক কার্যালয়ে পুলিশের এই যাওয়া অনধিকার প্রবেশ। কোনওরকম খবর না দিয়ে, সার্চ ওয়ারেন্ট না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ যে ধরনের কাজ করল তার তীব্র নিন্দা করি। এ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। গভীর ষড়যন্ত্র করেই এসব করছে।”