Haldia: ‘শ্রমিক সমাবেশের নাম করে কোনও চাঁদা তোলা যাবে না’, অভ্যন্তরীন বৈঠকে কড়া বার্তা ঋতব্রতদের

INTTUC: যদিও এ নিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, "আমাদের আইএনটিটিইউসির একটা অভ্যন্তরীন বৈঠক ছিল। যে বার্তাই দেওয়া হোক সেটা বৈঠকে দেওয়া হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের জন্য নয়।"

Haldia: 'শ্রমিক সমাবেশের নাম করে কোনও চাঁদা তোলা যাবে না', অভ্যন্তরীন বৈঠকে কড়া বার্তা ঋতব্রতদের
তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 16, 2022 | 8:44 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: আগামী ২৮ মে হলদিয়ায় বিশাল শ্রমিক সমাবেশ তৃণমূলের। সেই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তারই এক প্রস্তুতি বৈঠক ছিল হলদিয়ার কুমারচন্দ্র জানা অডিটোরিয়ামে। অভ্যন্তরীন এই বৈঠকে ছিলেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। এদিনের সভা থেকে ঋতব্রতদের বার্তা, ‘শ্রমিক সমাবেশের নাম করে কোনও চাঁদা তোলা যাবে না।’ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ” আপনারা শুনেছেন মিটিংকে কেন্দ্র করে কোনও চাঁদা তুলতে না করা হয়েছে। ২৭ মে আমাদের শ্রমিক সম্মেলন হবে। ২৮ মে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই শ্রমিক সমাবেশের প্রধান বক্তা। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এর আগে তমলুকে মিটিং হয়েছে। আজ হলদিয়ায় প্রস্তুতিসভা করলাম। ২০ তারিখ সুতাহাটা সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভা করব। ২১ তারিখ কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভা হবে। প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রতিটা কারখানার গেটে জেলাজুড়ে গেট মিটিং হবে। জনবহুল জায়গায় স্ট্রিট কর্নার হবে।”

শিল্পের বিকাশ ঘটাতে তৎপর রাজ্য সরকার। সম্প্রতি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে শিল্পপতিদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা ছিল, “বাংলায় স্থিরতা আছে। বাংলা স্বচ্ছ, নিরাপদ। আস্থা রাখুন, বিনিয়োগ করুন, বাংলা নিরাশ করবে না।” বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পর এবার রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পতালুকে শিল্পের বিকাশ ঘটাতে তৎপর রাজ্য সরকার। শিল্প শহর হলদিয়ায় শিল্পের বিকাশ ঘটাতে আগামী ২৮ মে শ্রমিক সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোথাও যাতে কোনও রকম চাঁদার জুলুমের অভিযোগ না ওঠে, তা নিয়ে সতর্ক তৃণমূল। যদিও এ নিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, “আমাদের আইএনটিটিইউসির একটা অভ্যন্তরীন বৈঠক ছিল। যে বার্তাই দেওয়া হোক সেটা বৈঠকে দেওয়া হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের জন্য নয়।”

তবে কিছুদিন আগেও শিল্পতালুকে ঠিকাদারদের দাপাদাপি নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছিল শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের তরফে। বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে, ঠিকাদারদের দাপটে কাজ করা দুষ্কর। সমস্ত ক্ষেত্রে তাঁদের প্রভাব খাটানোর প্রবণতা এবং শাসকদলের শ্রমিক নেতাদের একাংশের মদতে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। সেই সমস্যা মেটাতে ও শ্রমিক স্বার্থ সুরক্ষিত করতে কড়া নিয়ম চালু করার পরিকল্পনা নেয় রাজ্য সরকার।