Purulia Doctor Death : ৩-৪ দিন ধরে পচছিল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসন থেকে উদ্ধার মহিলা চিকিৎসকের পচা-গলা দেহ
Purulia : বিগত চার পাঁচ দিন ধরে ওই মহিলার কোনও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ি ভিতর থেকে বন্ধ।
পুরুলিয়া: তালা বন্ধ কোয়ার্টার্স থেকে উদ্ধার হল স্থানীয় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ (Body recovered)। আজ সন্ধ্যায় এমন ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে যান পুরুলিয়ার (Purulia) বরাবাজার এলাকার মানুষ। সুচিত্রা সিং সর্দার নামে বছর চল্লিশের ওই চিকিৎসক থাকতেন বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসনে। নিজের আবাসনে একাই থাকতেন তিনি।
ওই মহিলা চিকিৎসকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। কর্মসূত্রে পুরুলিয়ার বরাবাজারে থাকতেন। মহিলার একটি চার বছরের সন্তান আছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে বিগত চার পাঁচ দিন ধরে ওই মহিলার কোনও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ি ভিতর থেকে বন্ধ। রোগী এসে ফিরে যাচ্ছিল। আর এতেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।
এরপর আজ দুপুরের পর থেকেই ওই মহিলা চিকিৎসকের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। দেহ পচে গেলে যেমন গন্ধ হয়, সে রকমই। দুর্গন্ধ ক্রমেই বাড়তে থাকে। খারাপ কিছু হয়েছে তা আঁচ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বরাবাজার থানার পুলিশ এসে তালা ভেঙে চিকিৎসকের কোয়ার্টারে ঢোকে। আর ঢুকেই আরও দুর্গন্ধ। রুমাল নাকে না দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল। মেঝের উপর পড়ে রয়েছে এক মহিলার দেহ।
বেশ কয়েকদিন ধরে পড়ে ছিল দেহটি। সম্পূর্ণভাবে পচে গিয়েছে। আর তার থেকেই দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। দেহটি এতটাই বাজে ভাবে পচে গিয়েছে, যে ওই দেহটিই চিকিৎসক সুচিত্রা সিং সর্দারের কিনা, তা বলা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে স্থানীয়দের অনুমান দেহটি সুচিত্রা দেবীরই।
তবে ওই মহিলা চিকিৎসকের কীভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। এদিকে বরাবাজার থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। সেখান থেকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরই স্পষ্ট হবে কী ভাবে মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বদলি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে বেহালার বাড়িতে গায়ে অ্যালকোহল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে নেন চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্য। ‘কী করলে শান্তি পাবো? চাকরি ছাড়লে?….’ যেদিন গায়ে আগুন ধরিয়েছিলেন, ঠিক তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ফেসবুকে এই পোস্ট করেছিলেন!
ফেসবুক পোস্টের পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরে ফোন করে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন অবন্তিকা। দু’সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পরে এসএসকেএমে মৃত্যু হয় বছর চল্লিশের চিকিৎসকের। আট বছর জেলায় চাকরি করার পরে আবার জেলাতেই বদলি হয়েছিল চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্যের। তাও আবার কোনও পদোন্নতি ছাড়াই। আর এটাই মেনে নিতে পারেননি তিনি। সেই থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া।
তবে পুরুলিয়ার চিকিৎসক মৃত্যুর পিছনে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে বরাবাজার থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন : EXCLUSIVE: বদলির মাসুল মৃত্যু! ফেসবুকে পোস্টের পরই আগুন ধরিয়ে আত্মঘাতী চিকিত্সক! কাঠগড়ায় রাজ্য সরকার