Jhalda Councillor Murder: পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারে CBI, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জেরা দীপক কান্দুকে

Tapan Kandu: বুধবার দুপুরে জেলা সংশোধনাগারে যান সিবিআই অফিসাররা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তাঁরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায় জেল হেফাজতে থাকা দীপক কান্দুকে এদিন জেরা করা হয়।

Jhalda Councillor Murder: পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারে CBI, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জেরা দীপক কান্দুকে
তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 7:37 PM

পুরুলিয়া : ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর মৃত্যুর তদন্তের স্বার্থে এবার পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারে গেলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বুধবার দুপুরে জেলা সংশোধনাগারে যান সিবিআই অফিসাররা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তাঁরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায় জেল হেফাজতে থাকা দীপক কান্দুকে এদিন জেরা করা হয়। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ঝালদায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন ঝালদার ২ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু। ঘটনার তদন্তে প্রথমে সিট গঠিত হয়। নিহত তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে সিটের আধিকারিকরা গ্রেফতার করেন। পরে ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। বুধবার জেলের ভেতরে দীপক কান্দুকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে সিবিআই। তবে তাকে কী বিষয়ে জেরা করা হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

উল্লেখ্য এই জেরা করার জন্য বুধবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে আবেদনও করা হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। জেল হেফাজতে দীপক কান্দুকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের জেরা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন পূর্ণিমা কান্দু। তপন কান্দুর স্ত্রী জানিয়েছেন, “অল্প দিনের মধ্যেই তাঁর স্বামীর হত্যার কিনারা হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। সিবিআই তদন্তের উপর তাঁর আস্থা রয়েছে, সেই কথাও বলেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি খুব ভাল হয়েছে। কারণ, এই হত্যাকাণ্ডে দীপক কান্দু, নরেন কান্দু, সত্যবান… এরা প্রথম থেকেই জড়িত আছে। এর পিছনে আরও বড় বড় যে মাথারা আছে, তাদের নামও সামনে আসবে। সিবিআইয়ের উপরে আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। দীপক কান্দুকে যখন জেরা করা হচ্ছে, তখন অনেক কিছুই জানতে পারবে সিবিআই।”

তপন কান্দু খুনের ঘটনায় শুরু থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আসছিলেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। অভিযোগ উঠেছিল আইসির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তপন কান্দুকে বার বার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন আইসি। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টও প্রশ্ন তুলেছিল, আইসির বিরুদ্ধে যখন এত অভিযোগ, তখন কেন আইসিকে হেফাজতে নেয়নি রাজ্য পুলিশ।